নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার জেরে বিসিসিআই থেকে আট মাসের জন্য নির্বাসিত হন পৃথ্বী শ। ফাইল চিত্র
খুব ছোট বেলায় সাফল্যের মুখ দেখলেও কম বয়সেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন পৃথ্বী শ। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়ে নির্বাসিত হওয়া। ২০১৯ সালে এই ঘটনার জেরে মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যানকে আট মাসের জন্য নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। স্বভাবতই সেই ঘটনা মনে করলে আজও শিউরে ওঠেন এই ওপেনার।
কিন্তু কীভাবে তিনি সেই ভুল করেছিলেন? সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বাবা পঙ্কজ শ ও নিজেকে দায়ী করছেন এই বঙ্গ সন্তান। বলেন, “সিরাপ বিতর্কের জন্য বাবা ও আমি পুরোপুরি দায়ী। সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতা খেলার জন্য ইনদওরে থাকার সময় জ্বর এসেছিল। সঙ্গে ছিল প্রবল কাশি। এক রাতে সতীর্থদের সঙ্গে বাইরে খেতে গিয়ে শরীর খারাপ হয়ে যায়। সেটা বাবাকে জানাই। এরপর বাবার নির্দেশে স্থানীয় একটি দোকান থেকে সিরাপ কিনে খেয়ে ফেলি। আর সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। একবার ভারতীয় দল কিংবা মুম্বইয়ের ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ খেলে বিতর্কে জড়াতাম না।”
কীভাবে তাঁর শরীর থেকে নিষিদ্ধ ওষুধের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল? পৃথ্বী বলেন, “পরপর দুদিন সিরাপ খেয়েছিলাম। তৃতীয় দিনের মাথায় ছিল আমার ডোপ পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার পরেই আমার মুত্রের নমুনার ফল পজিটিভ আসে। খবরটা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতে মোটেও সময় লাগেনি। চারদিকে আমাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। অনেকের দাবি ছিল আমি নাকি নিয়মিত মাদক নিই। এগুলো শুনতে আর ভাল লাগছিল না। নিজেকে ঘরবন্দি করে নিলেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। তাই দুই মাসের জন্য লন্ডন চলে যাই।”
সেই ঘটনার পর পৃথ্বীর ওজন অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে থাকার পর আবার বাইশ গজের যুদ্ধে সুনামের সঙ্গে ফিরে এসেছেন পৃথ্বী।