তৃতীয় ওপেনার হিসেবে নিজের দাবি ফের তুললেন পৃথ্বী। ফাইল ছবি।
ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে আট মাসের জন্য ছিলেন নির্বাসিত। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের দেওয়া নির্বাসনের শাস্তি কাটিয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর ফিরেই রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন পৃথ্বী শ। একই সঙ্গে জাতীয় দলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে নিজের দাবি আরও একবার তুলে ধরলেন মুম্বইয়ের ওপেনার।
বুধবার বদোদরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের তৃতীয় দিন আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে ২০২ করলেন পৃথ্বী। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর নবম সেঞ্চুরি। মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৬২ বলে ৬৬ করেছিলেন তিনি। বদোদরার রিলায়েন্স স্টেডিয়ামে এ দিন তাঁর সেঞ্চুরি এল মাত্র ৮৪ বলে। দুশোয় পৌঁছতে নিলেন ১৭৪ বল। মারলেন ১৯টি চার ও সাতটি ছয়।
এটা গত ২৫ বছরে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। ২০১৫ সালে মুম্বইয়েরই শ্রেয়স আইয়ার ১৭৫ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০০৯ সালে রোহিত শর্মা ১৮৫ বল নিয়েছিলেন দ্বিশতরানে পৌঁছতে। আর ১৯৯৮ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ম্যাচে ১৮৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ৩১ বছর আগে এই ১১ ডিসেম্বরই মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটল চ্যাম্পিয়ন। পৃথ্বীর এই ইনিংস সেটাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে ক্রিকেটমহলকে।
আরও পড়ুন: ‘সৌরভ আর আমার সম্পর্ক মিডিয়ার কাছে চাট-ভেলপুরির মতো’
আরও পড়ুন: আজ কে জিতবেন, কোহালি নাকি কেসরিক? ফিল সিমন্স বললেন...
ডোপিংয়ের জন্য নির্বাসনের মেয়াদ কাটিয়ে ওঠার পর থেকে ধারাবাহিক থেকেছেন তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যথাক্রমে ৬৩, ৩০, ৬৪, ৩০ ও ৫৩ রান করেছিলেন। এ দিনের ডাবল সেঞ্চুরি তাঁর প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান। এ দিন ছয় মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। খেললেন সেই মেজাজেই। শেষ পর্যন্ত থামলেন ১৭৯ বলে ২০২ রানে।
এই ইনিংসের পর নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতের তৃতীয় ওপেনার হিসেবে তাঁর নাম জোরালো ভাবে উঠছে। রঞ্জিতে একই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। বলা হচ্ছে, ফর্মের জন্য তিনি নিজের জায়গা হারাননি। চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। তার পর ঘটে ডোপিংয়ের জন্য নির্বাসন। নির্বাসন কাটিয়ে উঠে জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, এ বার দেখা যাবে পৃথ্বী ২.০-কে। আর সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে।