আক্রমণাত্মক পৃথ্বী। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে। ছবি: এএফপি।
প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল ওয়েলিংটন টেস্টের পর। প্রশ্ন উঠছিল টেকনিক নিয়ে। টেস্টে খেলার মতো মানসিকতা রয়েছে কি না, সেই আলোচনাও চলছিল। হ্যাগলি ওভালে শনিবারের হাফসেঞ্চুরি তাই স্বস্তি দিচ্ছে পৃথ্বী শ-কে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১৬ ও ১০ করেছিলেন পৃথ্বী। তার উপর বাঁ পায়ের পাতা ফুলে থাকায় বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে পারেননি। সংশয় তৈরি হয়েছিল তাঁর এ দিনের ম্যাচে খেলা নিয়েই। শুভমন গিলকে তৈরি রাখা হচ্ছিল নেটে। কিন্তু, শুক্রবার প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী প্রচারমাধ্যমের সামনে এসে পৃথ্বীকে নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেন। বলেন যে, তিনি খেলার জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে ব্যর্থ, ডিআরএসেও ফ্লপ শো অব্যাহত বিরাটের
আরও পড়ুন: পৃথ্বী-পূজারা-হনুমার হাফসেঞ্চুরি, ক্রাইস্টচার্চে ২৪২ করল ভারত
আর শনিবার পৃথ্বীকে দেখা গেল নিজের মেজাজেই। পুল, ড্রাইভে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করেন তিনি। পঞ্চাশে পৌঁছতে নেন ৬১ ডেলিভারি। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ৫৪ করে ফেরেন মুম্বইকর। কাইল জেমিসনের বলে স্লিপে লাফিয়ে তাঁর ক্যাচ ধরেন লাথাম। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৪.৩৭।
এই ইনিংসের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে কম বয়সি ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডেও জায়গা করে নিলেন পৃথ্বী। সচিন তেন্ডুলকর ১৯৯০ সালে ১৬ বছর ২৯১ দিনে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। পৃথ্বীর পঞ্চাশ এল ২০ বছর ১১২ দিনে। ১৯৯০ সালে ২১ বছর ৩৩৬ দিনে অতুল ওয়াসন হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন এ দেশে। ১৯৭৬ সালে ব্রিজেশ পটেল ২৩ বছর ৮১ দিনে তা করেছিলেন। আর সন্দীপ পাতিল ১৯৮১ সালে নিউজিল্যান্ডে এসে ২৪ বছর ১৮৭ দিনে অর্ধশতরানে পৌঁছেছিলেন।