ইলিশ-চিংড়ির বাজার সরগরম

লাল-হলুদ ভক্তদের জন্য শিলিগুড়িতে এখন ভরসা আড়তে মজুত করা ডায়মন্ডহারবারের ইলিশ। বড় ইলিশ কিছু বাজারে আসছে বাংলাদেশ থেকে হিলি সীমান্ত হয়ে চোরাপথে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৯
Share:

উৎসাহ: ইলিশ হাতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সমর্থকেরা অনুশীলন দেখতে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে গলা ফাটাচ্ছেন ‘ছাঁকা তেলে ইলিশ ভাজা, গোল করবে উইলিস প্লাজা।’ লাল-হলুদের সমর্থকদের প্রিয় ইলিশ শিলিগুড়ির বাজারে সপ্তাহ দুয়েক আগেই ৩০০ টাকা কেজিতে দেদার বিক্রি হয়েছে। পুজোতে ইলিশ দিয়েই মেনু সাজাবার ছক কষেছিলেন অনেকে। কিন্তু সরবরাহ কমায় ডার্বির মুখে মহার্ঘ্য সেই ইলিশই।

Advertisement

লাল-হলুদ ভক্তদের জন্য শিলিগুড়িতে এখন ভরসা আড়তে মজুত করা ডায়মন্ডহারবারের ইলিশ। বড় ইলিশ কিছু বাজারে আসছে বাংলাদেশ থেকে হিলি সীমান্ত হয়ে চোরাপথে। বিধনমার্কেট বাজার, চম্পাসারি নিয়ন্ত্রিত বাজারে শনিবার ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি। তাতে পরোয়া নেই বলে জানান লাল-হলুদ সমর্থক সমর্থকদের একাংশ।

সবুজ মেরুন ফ্যানদের পছন্দের চিংড়িও মহার্ঘ্য। শনিবার বড় গলদা চিংড়ির দাম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজিতে পৌঁছয়। দলের প্রিয় মাছের রেসিপি চাখতে সমর্থকদের একাংশ অবশ্য উৎসাহী। বস্তুত, পুজোর ঠিক আগেই ডার্বিকে ঘিরে ইলিশ-চিংড়ির লড়াই জমে উঠেছে মাঠের বাইরে।

Advertisement

এ দিন সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুশীলন দেখতে আসার আগে হায়দরপাড়া বাজার থেকে জোড়া ইলিশ কিনে নিয়ে যান ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তপন নন্দী। তা হাতে নিয়ে প্লাজা, আল আমনাদের সঙ্গে ছবি তুলবেন বলে। তপনবাবুর কথায়, ‘‘ইলিশের দাম বেড়ে গিয়েছে। একটু বড় ৮০০, ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১৪০০, ১৬০০ টাকা। তবে দল জিতলে নিশ্চয়ই খাব। দামের কোনও পরোয়া নেই।’’

শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বাপি চৌধুরীর কথায়, ডায়মণ্ডহাবারে কিছুদিন আগেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিল বলে সরবরাহ ছিল বেশি। দামও ৩০০ টাকায় নেমে আসে। এখন কিন্তু ইলিশ আসছে না। আরতে বরফে যা মজুত করা রয়েছে সেটাই বাজারে আনা হচ্ছে। ছোট ইলিশের দামও দ্বিগুণ বেড়ে ৬০০ টাকায় এসেছে। বড় ইলিশের দাম দেড় হাজারের কাছাকাছি।’’

সেবক রোডের যে হোটেলে মোহনবাগান উঠছে সেখানে ফুটবলার, কমর্কর্তাদের জন্য এ দিন চিংড়ির একাধিক রেসিপি ছিল। ডাব চিংড়ি, মোচা চিংড়ি, চিংড়ির মালাইকারিও। হোটেল ম্যানেজার তথা মোহনবাগান ভক্ত গোপাল বসুর কথায়, দল জিতলে চতুর্থীর রাতে চিংড়ির বিশেষ মেনুও করা হবে। বিধান মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, ‘‘চিংড়ির জোগানও কম। বড় গলদাচিংড়ি কিছু রয়েছে। দাম পড়েছে কেজি প্রতি দু’হাজার টাকার মতো।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement