রবিবার দীপা-সাক্ষী-সিন্ধু-জিতুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
তিন কন্যের অলিম্পিক্স গরিমায় এখনও মোহিত গোটা দেশ। আর তার রেশ মিটতে না মিটতেই দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান এল দীপা-সিন্ধু-সাক্ষীদের ঝুলিতে। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কার পেলেন পিভি সিন্ধু, দীপা কর্মকার ও সাক্ষী মালিক। আশা জাগিয়ে শুরু করলেও শেষমেশ পদক না জিতলেও রিওতে তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য এই পুরস্কার পেলেন জিতু রাই। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বিশ্বেশ্বর নন্দীর কোচিংয়ে সমীহ আদায় করে নিয়েছে রিওতে দীপার পারফরম্যান্স। অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হলেও প্রোদুনোভা ভল্টে নজর কেড়েছেন তিনি। দীপাকে এক দশকের বেশি কোটিং করানো বিশ্বেশ্বর নন্দীকে এ দিন দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়া হল। তাঁর সঙ্গী হলেন নাগাপুরী রমেশ (অ্যাথলেটিক্স), সাগর মাল ধয়াল (বক্সিং), রাজকুমার শর্মা (ক্রিকেট)। লাইফ টাইম পুরস্কার পেলেন এস প্রদীপ কুমার (সুইমিং) ও মহাবীর সিংহ (কুস্তি)। কোচেদের সঙ্গে মোট ১৫ জন খেলোয়াড় অর্জুন পুরস্কার পেলেন। সে তালিকায় রয়েছেন ক্রিকেটার অজিঙ্কে রাহানে, ফুটবলার সুব্রত পাল এবং টেবল টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষও। রয়েছেন রিও অলিম্পিক্সের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজের ফাইনালে ওঠা ললিতা বাবর। ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পেলেন অ্যাথলিট সাত্তি গীতা, প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় সিলভানাস ডুং ডুং এবং রোয়িংয়ে রাজেন্দ্রপ্রহ্লাদ শেলকে।
পদক ছাড়াও একটি সম্মননাপত্র-সহ সাড়ে সাত লাখ টাকা করে তুলে দেওয়া হয় সিন্ধু-দীপা-সাক্ষী-জিতুদের হাতে। পাশাপাশি, দ্রোণাচার্য ও ধ্যানচাঁদ পুরস্কার প্রাপকরা প্রত্যেকেই পেলেন পাঁচ লাখ করে অর্থমূল্য।
আরও পড়ুন