সৌজন্য: দুই সাত নম্বর। গ্রিজ়ম্যান ও রোনাল্ডো (ডান দিকে)। এএফপি
উয়েফা নেশনস লিগ
পর্তুগাল ০ • ফ্রান্স ১
প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট পাঁচটি। পুরো ম্যাচে বল দখলে ছিল ৪৯ শতাংশ। নিজেদের মধ্যে মোট পাস ৫৪৯টি। তার পরেও জয় অধরা রয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের। শনিবার পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে চলতি উয়েফা নেশনস লিগের শেষ চার খেলা নিশ্চিত করে ফেলল বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স। ৫৩ মিনিটে ফরাসি শিবিরে হাসি ফেরালেন এনগোলো কঁতে।
ঘরের মাঠে টানা ২২টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার পরে প্রথম হারের ধাক্কা এল এমন এক সময়ে, যখন বিশেষজ্ঞদের বিচারে দিদিয়ে দেশঁ-এর দলের চেয়ে পর্তুগাল ছিল এগিয়ে। বিশেষ করে, শেষ ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অ্যান্ডোরার বিরুদ্ধে ৭-০ গোলে জয়ের প্রেক্ষিতে। কিন্তু ম্যাচে রোনাল্ডোরা লড়াই করেও করতে হার বাঁচাতে ব্যর্থ। পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের কথায়, “প্রথামার্ধে ফ্রান্স দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে। ওই সময় আমরা সত্যি অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। ফ্রান্সের গোলের সামনে পৌঁছে গেলেও পাসিং ছিল খুবই এলোমেলো। পরের ম্যাচে এই জাতীয় সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।”
আর সেই জায়গাতেই শেষ হাসি হাসলেন দিদিয়ে দেশঁ। ফিটনেস সমস্যা থাকায় খেলতেই পারলেন না কিলিয়ান এমবাপে। মাঠে থেকেও ছন্দহীন পল পোগবা। বার্সেলোনার জার্সিতে এখনও নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারা আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান। কিন্তু তার পরেও অঙ্ক কষে ম্যাচ বার করে নিয়ে গেলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক। যিনি ম্যাচের পরে বলেছেন, “আমার মনে হয়েছিল পর্তুগালের মতো গতিশীল দলকে থামাতে হলে পাল্টা আক্রমণেই জবাব দিয়ে ম্যাচের রাশ ধরে রাখতে হবে। ক্লাব ফুটবলের টানা ক্লান্তি সামলেও সেই দায়িত্ব যে-ভাবে পালন করল ফুটবলারেরা, আমি কোচ হিসেবে গর্বিত।”
আরও পড়ুন: আইপিএল আয়োজনের জন্য আমিরশাহি বোর্ডকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে বিসিসিআই