মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে ভারত। শুধু পরাজয়ই নয়, ফাইনালে হরমনপ্রীতদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। তারই প্রভাব পড়ল আইসিসির ঘোষিত বিশ্বকাপের সেরা একাদশে। প্রথম এগারোয় জায়গা পেলেন মাত্র একজন ভারতীয়। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার পাঁচজন রয়েছেন এই দলে। কেমন হল সেই দল, দেখে নেওয়া যাক।
ওপেনিংয়ে অবশ্যই অ্যালিসা হিলি। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। প্রতিযোগিতায় ৩৯.৩৩ গড়ে করেছেন ২৩৬ রান। সঙ্গে রয়েছে সাত শিকার। ফাইনালে তিনি ৩৯ বলে করেন ৭৫।
অস্ট্রেলিয়া দলের মতো আইসিসির সেরা দলেও বেথ মুনিই থাকছেন ওপেনিংয়ে অ্যালিসার সঙ্গী হিসাবে। ৬৪.৭৫ গড়ে তিনি করেছেন ২৫৯ রান। ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ৫৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে।
তিন নম্বরে ইংল্যান্ডের ন্যাট স্কিভার। বিশ্বকাপে ৬৭.৩৩ গড়ে তিনি করেছেন ২০২ রান। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলার সুযোগ পেলে রান আরও বাড়ত তাঁর।
চারে ইংল্যান্ডেরই হিদার নাইট। ৬৪.৩৩ গড়ে তিনি করেছেন ১৯৩ রান। বৃষ্টির জন্য সেমিফাইনাল ভেস্তে যাওয়ায় তিনিও কম ম্যাচ পেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিং থাকছেন পাঁচে। ৪৪ গড়ে তিনি করেছেন ১৩২ রান। এই দলটার অধিনায়কও তিনি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককেই নেতৃত্বে বেছে নিয়েছে আইসিসি।
লরা উলভার্ডট আছেন ছয় নম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯৪ রান।
এর পর রয়েছেন বোলাররা। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি স্পিনার জেস জোনাসেন ১৪ গড়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ফাইনালে ২০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টন আরও একজন বাঁহাতি স্পিনার। তিনি ৬.১২ গড়ে নিয়েছেন আট উইকেট।
এর পর অ্যানা শ্রুবসেলে। ডানহাতি পেসার বিশ্বকাপে ১০.৬২ গড়ে নিয়েছেন আট উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার মেগান স্কুট দৌড়বেন নতুন বল হাতে। ১০.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ১৮ রানে চার উইকেট নেন তিনি।
এগারো জনে ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার হলেন পুনম যাদব। ১১.৯০ গড়ে বিশ্বকাপে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ফাইনালে ৩০ রানেন এক উইকেট নেন তিনি।
দ্বাদশ ব্যক্তিও অবশ্য এক জন ভারতীয়। তিনি ১৬ বছর বয়সি শেফালি ভার্মা। ১৫৮.২৫ স্ট্রাইক রেটে বিশ্বকাপে ১৬৩ রান করেছেন তিনি। ফাইনালে অবশ্য ব্যর্থ হন। ফেরেন মাত্র দুই রানে।