আগমন: বৃহস্পতিবার আমিরশাহি পৌঁছে গেলেন কুলদীপরা। ফেসবুক
করোনা অতিমারির জেরে শুধু ক্রিকেটেই নানা পরিবর্তন ঘটছে না। বলে থুতু বা লালা লাগানো যাবে না, হাত মেলানো যাবে না, আলিঙ্গন নয়। নানা নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে। এ বারে আইপিএলে ক্রিকেটারদের কিটব্যাগে ঢুকে পড়ছে নতুন সব সঙ্গী। ক্রিকেটের নানা সরঞ্জামের পাশাপাশি নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ যেমন তুলে দিচ্ছে ‘সেফটি কিট’। যার মাধ্যমে নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আরও ভাল ভাবে সামলাতে পারবেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেল, কেকেআরের ‘সেফটি কিট’-এ রয়েছে বেশ কিছু সরঞ্জাম। শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য দেওয়া হয়েছে ‘থার্মাল গান’, স্যানিটাইজ়ার, ডিসইনফেকট্যান্ট স্প্রে, ফেস শিল্ড, নাইট লোগো বসানো ‘মাস্ক’ বা মুখাবরণ। তার সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে একটি করে ‘পালস অক্সিমিটার’। যার মাধ্যমে ফুসফুস, হৃদযন্ত্রে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করে নিতে পারবেন আন্দ্রে রাসেল, দীনেশ কার্তিকরা।
এমনকি, ক্রিকেটারদের ‘পালস রেট’ কমে যাচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করা যাবে এই যন্ত্রের সাহায্যে। সাধারণত করোনা আক্রান্ত হলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রত্যেক ক্রিকেটারের হাতে এই যন্ত্র তুলে দেওয়ার কথা ভেবেছেন কেকেআর কর্তারা। যাতে তাঁরা নিজেরাই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন। এর পাশাপাশি, প্রত্যেককে নিজেদের শরীরের তাপমাত্রাও লিখে রাখতে হবে প্যাডে। যা তুলে দিতে হবে দলের ডাক্তারের হাতে। তিনি বিবেচনা করে দেখবেন, অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কি না।
শুধু নাইট শিবির নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ‘মেডিক্যাল কিট’-এও রয়েছে পালস অক্সিমিটার। এ ছাড়াও নাইটদের মতোই রয়েছে ফেস শিল্ড ও মুখাবরণ। বুধবার নাইটদের প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ফল জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই ‘নেগেটিভ’। দুপুরের বিমানে রওনা হয়ে মরুদেশে পৌঁছেও গিয়েছে কেকেআর দল। আবু ধাবিতে থাকবেন শুভমন গিল-রা। আবু ধাবিতে এখন তাঁদের দিন সাতেক হোটেলেই বন্দি থাকতে হবে। সেখানে ছ’ দিনে তিন বার করোনা পরীক্ষা হবে প্রত্যেকের।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভারতীয় ক্রিকেটারেরা এ দিন পৌঁছে গেলেও অইন মর্গ্যান, প্যাট কামিন্স, টম ব্যান্টন, ক্রিস গ্রিন, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনেরা যোগ দেবেন সেপ্টেম্বরে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে। সামনেই মর্গ্যানদের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ। আর রাসেলরা এখন ব্যস্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে। বৃহস্পতিবার সকালে আমিরশাহিতে পৌঁছে গিয়েছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। নিজেদের ইনস্টাগ্রামেই তারা বিমানযাত্রা ও পৌঁছনোর ছবি দিয়েছে। সেই দলে রয়েছেন বাংলার মহম্মদ শামি ও ঈশান পোড়েল। এ বারই আইপিএলে অভিষেক হতে চলেছে ঈশানের। আমিরশাহি উড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত ছন্দে ফেরার জন্য নিজেকে নেটে উজাড় করে দেব। পাঁচ মাস বাড়িতে বসে থাকার পরে শেষ কয়েক দিন প্র্যাক্টিস করেছি। আগামী যে ক’টা দিন পাব, কঠোর পরিশ্রম করব। এ বারের আইপিএলে কিছু করে দেখাতে চাই।’’ ঈশানের মতো তরুণ প্রতিভার উত্থানের স্থানই যে আইপিএল। তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয় কি না সেটাই দেখার।