হর্ষ-বিষাদ: প্রত্যাবর্তনেই জয় পেলেন কিভিতোভা। অঘটনের হার শীর্ষ বাছাই কের্বেরের। ছবি: গেটি ইমেজেস
ফরাসি ওপেনের শুরুতেই মেয়েদের টেনিসে হর্ষ-বিষাদ। ছুরির আঘাতের দুঃস্বপ্ন মুছে কোর্টে ফিরে প্রথম রাউন্ডে জিতলেন পেট্রা কিভিতোভা। আর বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় অ্যাঞ্জেলিক কের্বের হেরে গেলেন প্রথম রাউন্ডে। টেনিসের ওপেন যুগে ফরাসি ওপেনে এর আগে কোনওদিন টুর্নামেন্টের শীর্ষবাছাই প্রথম রাউন্ডে হারের স্বাদ পাননি।
গত বছর অস্ট্রেলীয় ওপেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতেছিলেন কের্বের। কিন্তু এই মরসুমে সে রকম ফর্মে ছিলেন না জার্মান তারকা। সেরিনা উইলিয়ামসকে সরিয়ে এক নম্বর হলেও সে রকম দাপট দেখাতে পারছিলেন না। রবিবার ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডেও বিশেষ কোনও লড়াই লড়তে পারলেন না তিনি। ৪০ নম্বর বাছাই, রাশিয়ার একাতেরিনা মাকারোভার কাছে কের্বের হারলেন ২-৬, ২-৬। অন্য দিকে দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন কিভিতোভা ৬-৩, ৬-২ হারালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জুলিয়া বোসরুপ-কে।
মাত্র ছ’মাস আগে আততায়ীর ছুরিতে হাতে আঘাত পেয়েছিলেন কিভিতোভা। তখন বোঝা যায়নি এত তাড়াতাড়ি তিনি আবার কোর্টে ফিরতে পারবেন। কিভিতোভাও মোটামুটি ঠিক করেছিলেন, উইম্বলডনেই ফিরবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলে ফরাসি ওপেনেই নেমে পড়েন তিনি। কোর্টে নামার আগে কিভিতোভা বলেছিলেন, ‘‘আমি একশো ভাগ সুস্থ নই ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে নামার সিদ্ধান্ত নিই।’’
আরও পড়ুন: ট্রফি দিয়েই বিদায় নিলেন এনরিকে
রবিবার প্রথম রাউন্ডে জেতার পরে কিভিতোভার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘খুব ভাল লাগছে এখানে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বলে।’’ এই ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কী রকম খেলেছি, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা হল আমি ম্যাচটা জিতেছি। হ্যাঁ এটা ঠিক, আমার কয়েকটা জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আশা করব, খেলতে খেলতে সেটা হয়ে যাবে।’’
কের্বের-কে হারিয়ে উঠে মাকারোভা আবার বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা কিন্তু বেশ কঠিন ছিল। কের্বের এক নম্বর প্লেয়ার। আর এক নম্বরের বিরুদ্ধে আপনি ম্যাচ জেতার সামান্য সুযোগ পেলে সেটাকে কাজে লাগাতে হয়। আমি সেটাই করেছি।’’