১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে হাজির থেকেছেন সস্ত্রীক পান্নালাল। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
আদ্যন্ত ফুটবলপ্রেমী তিনি। চার বছর ধরে জমাতেন টাকা। আর সেই সঞ্চিত অর্থ নিয়ে সস্ত্রীক চলে যেতেন বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে। কলকাতা ময়দানের ‘পানুদা’ বা পান্নালাল চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন মঙ্গলবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বয়স হয়েছিল ৮৬।
খিদিরপুরের রামকমল স্ট্রিটের বাসিন্দা পান্নালাল বাবু স্ত্রী চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাঠে বসে দেখেছিলেন ১০টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। ১৯৮২ সালে স্পেনে প্রথম বার বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই শুরু। ২০১৮ বিশ্বকাপেও রাশিয়ায় গিয়েছিলেন দু’জনে। কিন্তু ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর যাওয়া হল না।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল দু’জনের। মাঠে বসে দেখেছিলেন দিয়েগো মারাদোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোলও। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শরীর ক্রমশ খারাপ হওয়ায় কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে।