—প্রতীকী চিত্র।
২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমসে মোট আটটি পদক জিতেছিল পাকিস্তান। একটি পদক হাতছাড়া হল। ডোপিংয়ের জন্য কুস্তিগির আলি আসাদের ব্রোঞ্জ পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পদক সংখ্যা কমে হয়েছে সাত।
বার্মিংহামে পুরুষদের ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৫৭ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন আসাদ। সেখানে তাঁকে ডোপ পরীক্ষা দিতে হয় নিয়ম অনুযায়ী। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি আসাদ। পারফরম্যান্স ভাল করতে পারে, এমন নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর নমুনায়। তাই আসাদের পদক কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা। পাশাপাশি তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। আসাদের পদক হারানোর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে পাকিস্তানের কুস্তি সংস্থা। পাকিস্তানের এক কুস্তি কর্তা বলেছেন, ‘‘ডোপিংয়ের বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগে। বেশ কিছু ভারোত্তোলক এবং কুস্তিগির ডোপিংয়ের জন্য নির্বাসিত হয়েছে।’’
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নমুনা দিতে অস্বীকার করেছিলেন পাকিস্তানের চার ভারোত্তোলক আবদুর রহমান, শারজিল বাট, গুলাম মুস্তাফা এবং ফারহান আমজাদ। নির্দেশ অমান্য করায় আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন সংস্থা তাঁদের চার বছর নির্বাসিত করে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এ ছাড়াও পাকিস্তানের কয়েক জন খেলোয়াড় ডোপিং পরীক্ষার উত্তীর্ণ না হওয়ায় নির্বাসিত হয়েছেন।