পাকিস্তান ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র।
দশ বছরে পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ আয়োজন করার পথে আরও এগিয়ে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট রাওয়ালপিণ্ডি এবং করাচিকে হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। যা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরও অন্তর্ভুক্ত। পিসিবি-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম টেস্ট হবে রাওয়ালপিণ্ডিতে ১১-১৫ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ১৯-২৩ ডিসেম্বর করাচিতে। ২০০৯ সালে লাহৌরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের উপরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে কোনও বিদেশি দল টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি।
এ দিকে, অস্ট্রেলিয়া সফরে মহম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে দলে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু পাকিস্তান বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা তাতে রাজি নয়।
দল অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ও কোচ মিসবা-উল-হকের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে বাবরের। শোনা যাচ্ছে, পাক বোর্ডের একাংশের সিনিয়রদের দলে নেওয়ার ব্যাপারে মত ছিল না। সঙ্গে নাকি তর্কও উঠে যায় কতটা স্বাধীনতা পেতে পারেন প্রধান কোচ এবং অধিনায়ক?
দল নির্বাচনের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে বাবর বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি মতামত জানিয়ে দিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল দলে কয়েকজন সিনিয়র থাকলে ভাল হয়। বাকিটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত।’’ নতুন পাক অধিনায়কের উপরে এত তাড়াতাড়ি নেতৃত্বের চাপ দেওয়াটা ঠিক হবে না বলে এর আগে মন্তব্য করেছিলেন সে দেশের কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাবর অবশ্য বলছেন, ‘‘আমার নিজের উপর আর ব্যাটিংয়ের উপর বিশ্বাস রয়েছে। অধিনায়কত্ব একটা নতুন দায়িত্ব। যেটা পালন করতে গিয়ে আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। সবাই আমায় সমর্থন করলে দলও যে ভাল খেলবে, সেটা পরিষ্কার। তাই আমি চাই সবাই পারফর্ম করুক। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করে যাব।’’ বাবর এটাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তা ছাড়া এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। ফলে সেখানকার পরিবেশ এবং পিচ নিয়ে তাঁর ধারণা রয়েছে। ‘‘অস্ট্রিয়ায় খেলা এবং ওদের হারানো খুব বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের লক্ষ্য ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে মরিয়া লড়াই করা। ওদের মতো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা,’’ বলেন বাবর।