পাকিস্তানে ক্রিকেট প্রতিভার ছড়াছড়ি। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভবই নয়। যে কোনও মুহূর্তে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন পাক-ক্রিকেটাররা। বিশ্ব ক্রিকেটে এ রকম নজির বহু রয়েছে।
২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে মাটি ধরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ওয়াসিম আক্রমরা। পাকিস্তান যে জয় ছিনিয়ে নেবে এই দুটো টুর্নামেন্টে, তা আগে থেকে কেউই ধরেননি।
প্রতিভার অভাব নেই পাকিস্তানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্স প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রমকে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানকে প্রতিভার কারখানা বলাই ঠিক। আমরা অস্ট্রেলিয়ায় সব সময়ে বলে থাকি, পাকিস্তানে প্রতিভার অভাব নেই। তবে সেই প্রতিভাকে কোন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে, সেটাই আসল।’’
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত সব রেকর্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রায় অনামী এই সব ভারতীয় ক্রিকেটাররা, জানতেন!
জোন্সের এমন প্রশংসা শুনে আক্রমের দাবি, ‘‘ক্রিকেটের ব্রাজিল বললেই হয়তো ঠিক বলা হবে পাকিস্তানকে।’’ ব্রাজিল যেমন ফুটবলে একের পর এক প্রতিভা বিভিন্ন সময়ে তুলে এনেছে। পেলে, কাকা, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, নেমারের বিশ্ব ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানও বিভিন্ন সময়ে দুর্দান্ত সব ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে। প্রাক্তন অজি তারকা বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা একটা নির্দিষ্ট বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে আসে। সে খানে পাক ক্রিকেটাররা খুব অল্প বয়সে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।’’
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়াসিম আক্রম একাই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে জোন্স বলেন, ‘‘ভরা মেলবোর্নে ইংল্যান্ডকে যে দিন তোমরা হারালে সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন: করোনা তাণ্ডবে বিয়ে পিছিয়ে গেল স্পেনীয় তারকার
তখন তো আক্রমের বয়সও কম। ইনজামাম উল হকও কমবয়সি। এতটাই প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন আক্রমরা যে অভিজ্ঞ ইংল্যান্ডও তাঁদের কাছে হার মানে।