শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি বাঘ হয়ে উঠতে হবে, যতটা ব্যাঘ্র-গর্জনে তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দলকে বাঁচিয়েছিলেন ম্যাচ ড্র রেখে। দ্বিতীয় টেস্টে তামিম ইকবালদের উপর আরও বেশি চাপ। ৫৫০ রান তুলে জেতার।
আজহার আলির ডাবল সেঞ্চুরির পর ওয়াহাব রিয়াজ (৩-৭৩) আর ইয়াসির শাহের (৩-৫৮) বোলিং দাপটে বাংলাদেশ এ দিন প্রথম ইনিংসে (২০৩ অলআউট) ৩৫৪ রানে পিছিয়ে পড়লেও মিসবা-উল-হক তাদের ফলো অন না করিয়ে নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত ১৯৫-৬ তুলে তৃতীয় দিনেই ডিক্লেয়ার করে দেন। ফলে আগামী দু’দিনে ছ’টা সেশনে সাড়ে পাঁচশো রান তুলে জেতার প্রবল কঠিন চাপে বাংলাদেশ। যাদের চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক রান তুলে জেতার নজির হল ২১৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
এ দিনই ৬৩ রান তুলতে বাংলাদেশ হারিয়েছে প্রথম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বিগ হান্ড্রেড করা ইমরুল কায়েসকে (১৬)। ক্রিজে অপরাজিত খুলনা টেস্টের শেষ দিন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ঐতিহাসিক ডাবল সেঞ্চুরি করা তামিম (৩২) ও মোমিনুল হক (১৫)। শেষ দু’দিনে বাংলাদেশের দরকার আরও ৪৮৭ রান। পাকিস্তানের দরকার ৯ উইকেট।
তামিমের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকবে আজই অপরাজিত ৮৯ করে প্রথম ইনিংসে দলের পক্ষে ব্যাটে একমাত্র প্রাচীর গড়ে তোলা সাকিব আল হাসানের দিকে।