কলকাতা লিগের দৌড়। ফাইল চিত্র।
ডার্বি ম্যাচের দু’দিন আগে ছাত্রকে আশীর্বাদ করে গেলেন দ্রোণাচার্য।
সবুজ-মেরুন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী যখন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র ছিলেন তখন সেখানকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন প্রদীপ (পিকে) বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক দিন আগে শঙ্করলালকে ফোন করে দিপান্দা ডিকাদের অনুশীলন দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন পিকে। শিল্টন পালদের কোচ তাঁর ‘গুরু’কে জানিয়ে দেন সল্টলেকের মাঠে অনুশীলন হলে জানাবেন। সেই মতোই বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও হাজির হন ক্লাব ফুটবলে দেশের সফলতম কোচ। মাঠের পাশে বসে দেখেন অনুশীলন।
কলকাতা লিগ খেতাব জেতাটা এ বার ক্লাব নির্বাচনের মুখে শুধু সবুজ-মেরুনের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, শঙ্করলালের কোচিং জীবনে বড় পরীক্ষা। টানা আট বার ঘরোয়া খেতাব জিততে পারেননি মোহনবাগান। গুরুর আর্শীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত মোহনবাগান কোচ বলে দিলেন, ‘‘পিকে স্যরের কাছে চাপের মুখেও কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করা যায় সেটা শিখেছি। উনি এই বৃষ্টির মধ্যে এসেছেন এটাই একটা বড় ব্যাপার আমার কাছে।’’ এ দিকে স্পেনের স্ট্রাইকার বরিস গ্যারোসকে শেষ পর্যন্ত না পেয়ে এ বার মেক্সিকোর এনরিকে এসকুইদোকে সই করালো ইস্টবেঙ্গল। যদিও ডার্বিতে তাঁকে পাচ্ছেন না লাল-হলুদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিক। কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার জনি আকোস্তা অবশ্য সই করছেন আজ, শুক্রবার বিকেলে। ডার্বিতে তাঁর উপরই দায়িত্ব পড়বে দিপান্দা ডিকা এবং হেনরি কিসেক্কাদের আটকানোর।
কিন্তু প্রথম ম্যাচ নেমেই কি জনি সফল হবেন? বহু ডার্বি ম্যাচ কোচ হিসাবে সফল হওয়া পিকে অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘যত বড় ফুটবলারই হোক, কলকাতা ডার্বিতে প্রথম নেমে সফল হওয়া কঠিন।’’ ‘স্যর’-এর অশঙ্কা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি মোহনবাগান কোচ। বলে দিলেন, ‘‘খেতাব জিততে হলে ডার্বি জিততে হবে। সামনে বিশ্বকাপার পড়লেও খেলতে তো হবেই। জেতার চেষ্টাও করতে হবে। আমরা আমাদের
খেলাটা খেলব।’’ ইস্টবেঙ্গলে এ দিন অবশ্য রিকভারি সেশন ছিল। পুরোদমে অনুশীলন হবে। আজ থেকে ডার্বির রণনীতি তৈরি করবেন সুভাষ। তবে এ দিন ফুটবলারদের ক্লাব তাঁবুতে বসে ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ‘পেপটক’ দিয়েছেন মিনিট পনেরো। বলেছেন, ‘‘যে যাই বলুক আমরা ভাল খেলছি। আগের সব কিছু ভুলে যাওয়া ডার্বি জেতার
কথা ভাব।’’
ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানে যখন রবিবারের ডার্বির মহড়া শুরু হয়েছে তখন ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে উঠেছে। বৃহস্পতিবার বড় ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হতেই আই এফ এ অফিস, দুই প্রধানের মাঠে বিশাল লাইন পড়ে যায়। তা সামলাতে নামাতে হয়
প্রচুর পুলিশও।