সমীহ: অস্ট্রেলিয়া চায় না বিরাটকে রাগাতে।
একটা সময় ছিল, যখন তাঁরাই স্লেজিং করতেন। ভারতীয় দলকে শুনতে হত। সময় পাল্টেছে। অস্ট্রেলীয় পেসারের মুখে অন্য সুর।
বিরাট কোহালিকে ভুলেও স্লেজিং করতে যেও না। এই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারির সদস্য জশ হেজ্লউড। একটি ক্রিকেট সম্প্রচারকারী চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, কোহালিকে বোলারেরা সব সময় নির্জীব অবস্থায় পেতে চায়। আর তা পেতে গেলে তাঁকে রাগিয়ে দেওয়া চলবে না। হেজ্লউড মনে করেন, বিরাটকে স্লেজিং করা মানেই ভারত অধিনায়ক তেড়েফুড়ে উঠে আরও ভাল খেলতে শুরু করবেন।
কী ভাবে তাঁরা কোহালির মতো রানমেশিনকে আটকানোর চেষ্টা করেন? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অস্ট্রেলীয় পেসারকে। তাঁর জবাব, ‘‘আমরা ওর সঙ্গে বেশি কথা বলার দিকে যাই না। গত বারের সিরিজটা দেখলেই বোঝা যাবে, আমরা ওর সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টাই করিনি।’’ হেজ্লউড যোগ করছেন, ‘‘আমার মনে হয়, উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাটকে তাতিয়ে তোলে। তখন আরও বেশি করে ও নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারে। বিশেষ করে যখন ব্যাট করে, ও এই ধরনের পরিস্থিতি পছন্দ করে। তাই আমরা একদম ওই রাস্তায় পা রাখিনি।’’
অতীতে তাঁদের দেশে অতিথি দল এলে প্রথমেই সেই দলকে মৌখিক বাণে আক্রমণের নীতি নিত অস্ট্রেলিয়া। তার পরে সিরিজ চলার মাঝে, ম্যাচের মধ্যে অবিরাম চলত তাঁদের সেই আক্রমণ। বিশেষ করে স্টিভ ওয়ের সময়ে এই রণনীতি বেশি চালু ছিল। এখন কোহালির পাল্টা আগ্রাসনে অস্ট্রেলীয়দের মুখে পুরনো অভ্যেস ত্যাগ করার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে হেজ্লউড বলছেন, অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে কোহালির ব্যাপারটা আলাদা। ‘‘আমাদের ছেলেরা ব্যাট করার সময় যখন বিরাট মাঠে ফিল্ডিং করছে, তখন ওকে একটু-আধটু কথা বলানো যেতে পারে। তাতে কাজ হতে পারে। কিন্তু ও ব্যাট করার সময় কোনও ভাবেই কথা বলার রাস্তায় যাওয়া যাবে না। ওকে আমরা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় (সুইচ-অফ মেজাজে) পেতে চাই আর ওর ম্রিয়মান থাকার সুবিধা তোলার চেষ্টা করি।’’
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান ডে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও বলেছেন, কোহালিকে স্লেজিংয়ের রাস্তায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারে। তাই তাঁরা এ সবের থেকে দূরে থাকেন। স্টিভ স্মিথ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও স্বীকার করেছেন, ভারত অধিনায়ক দুর্ধর্ষ এক ক্রিকেটার। কিছুতেই হার মানতে চান না। ‘‘আমার মনে হয় সব ধরনের ক্রিকেটেই দুর্দান্ত ক্রিকেটার বিরাট। ওর পরিসংখ্যানই সে কথা বলে দিচ্ছে। আমরা ওকে অনেক রেকর্ডই ভাঙতে দেখব,’’ কোহালিকে নিয়ে বলেছেন স্মিথ। যোগ করেন, ‘‘ইতিমধ্যেই অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে টেস্টে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছে বিরাট। সব সময় খুবই উচ্চ মানের ক্রিকেট খেলতে চায় ও। শরীর এবং ফিটনেস নিয়ে ওর সচেতনতাও দেখার মতো।’’