মন্ডো ডুপ্ল্যান্টিস। ছবি: এক্স (টুইটার)।
সার্গেই বুবকা, এলিনা ইসিনবায়েভাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন মন্ডো ডুপ্ল্যান্টিস। সুইডেনের পোল ভল্টার প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেন নিজেরই রেকর্ড ভেঙে। এই নিয়ে ন’বার বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ডুপল্যান্টিস। প্রতি বারই নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন সুইডিস অ্যাথেলিট।
টোকিয়োর পর প্যারিস অলিম্পিক্সেও পুরুষদের পোল ভল্টের সোনা সুইডেনে নিয়ে গেলেন ডুপ্ল্যান্টিস। ৬.২৫ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছেন তিনি। পুরুষদের পোল ভল্টে পদক জিততে হলে এখন ৬ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করতে হয়। ৬ মিটারের বাধা টপকাতে পারলেই পদক নিশ্চিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতায় ডুপ্ল্যান্টিস থাকলে সেই উচ্চতা বৃদ্ধি পাবেই। সকলে শেষ করার পর শুরু করেন তিনি। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ডুপ্ল্যান্টিস নিজের জন্য যে উচ্চতা স্থির করেন, তা টপকানোর চেষ্টাই করেন না বাকিরা। নিয়ম অনুযায়ী, যে প্রতিযোগী যত বেশি উচ্চতা বেছে নেন, তিনি তত পরে সুযোগ পান। সেই হিসাবে সব প্রতিযোগিতাতেই সবার শেষে শুরু করেন ডুপ্ল্যান্টিস।
প্যারিসে ব্যতিক্রম হল না। নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন ডুপ্ল্যান্টিস। দ্বিতীয় হয়ে রুপো পেয়েছেন আমেরিকার স্যাম কেন্দ্রিকস। তিনি ৫.৯৫ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করে রুপো পেয়েছেন। অর্থাৎ সোনা এবং রুপো জয়ীর মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য ০.৩০ মিটার। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন গ্রিসের এমানুউইল কারালিস। তিনি ৫.৯০ মিটার উচ্চতা টপকেছেন। অলিম্পিক্সের ফলে আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অন্য পোল ভল্টারদের সঙ্গে ডুপ্ল্যান্টিসের পার্থক্য।
অলিম্পিক্সের দু’টি সোনা ছাড়াও ডুপ্ল্যান্টিসের ঝুলিতে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের দু’টি সোনা, বিশ্ব ইন্ডোর গেমসের দু’টি সোনা, ডায়মন্ড লিগের তিনটি সোনা, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি সোনা। ডুপ্ল্যান্টিস প্রতিযোগিতায় থাকা মানেই সোনা তাঁর। বাকিরা লড়াই করেন রুপো এবং ব্রোঞ্জের জন্য। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে শুরু করেছেন তিনি। প্রথম বার বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ৬.১৭ মিটারের উচ্চতা অতিক্রম করে। তা বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন ৬.২৫ মিটার। পরিসংখ্যান বলছে বছরে দু’তিন বার নতুন বিশ্বরেকর্ডের জন্য চেষ্টা করেন ডুপ্ল্যান্টিস। হয়তো এই রেকর্ডও ভেঙে দেবেন ভবিষ্যতে। যেমন নিজেদের রেকর্ড বার বার ভাঙতেন দুই প্রাক্তন পোল ভল্টার বুবকা এবং ইসিনবায়েভা।