প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম বার হল ব্রেকিং। ছবি: রয়টার্স।
অলিম্পিক্সে প্রথম বার হল ব্রেকিং (ব্রেকডান্স নামে পরিচিত)। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই ইভেন্ট। কিন্তু খেলাধুলার জগতে নাচের এই ইভেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগী রেগানকে নিয়ে মশকরাও চলছে সমাজমাধ্যমে।
প্যারিস অলিম্পিক্সে ১৬ জন মহিলা অংশ নিয়েছিলেন। সোনা জিতেছেন জাপানের অ্যামি (আসল নাম অ্যামি ইউয়াসা)। ব্রেকিং এক ধরনের নাচ যা বিভিন্ন দেশের রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। আমেরিকার ব্রঙ্কসের রাস্তায় বিখ্যাত হয়েছিল এই নাচ। সেখান থেকে জায়গা করে নিল অলিম্পিক্সে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ৩৬ বছরের নৃত্যশিল্পী রেগান (আসল নাম র্যাচেল গান)। তাঁর নাচ সমাজমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। মশকরা করা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। কেউ বলছেন তাঁর পোশাক নিয়ে, কেউ তাঁর নাচ নিয়ে। এক জন লেখেন, “আমি রেগানের মতো নাচতে পারি। অস্ট্রেলিয়া ভাল করত ওকে টেনিস আম্পায়ারের মতো পোশাক পরে না পাঠালে।” অন্য জন লেখেন, “রেগান অস্ট্রেলিয়ার সেরা নৃত্যশিল্পী! ক্যাঙ্গারুর মতো নাচে। এত দূর এল কী করে ও? এটা কী? ব্রেকিং কি আদৌ অলিম্পিক্সে হওয়ার মতো ইভেন্ট?”
রেগান যদিও এই সব সমালোচনা শুনতে অভ্যস্ত। তিনি বলেন, “অলিম্পিক্সে যখন ব্রেকিংয়ের কথা ঘোষণা করা হয়, তখনই অস্ট্রেলিয়া খুশি হতে পারেনি। আমাদের দেশে ব্রেকিংকে খেলা হিসাবে ধরাই হয় না।”
ব্রেকিং সাধারণত কম বয়সিদের করতে দেখা যায়। এ বারের অলিম্পিক্সে সোনা জেতা জাপানের অ্যামির বয়স ২৫ বছর। রুপো পেয়েছেন লিথুয়ানিয়ার নিকা (আসল নামা ডমিনিকা বানেভিচ)। তাঁর বয়স ১৭ বছর। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন চিনের ৬৭১ (আসল নাম লিউ কিনগি)।
৩৬ বছরের রেগান গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেন। তিনি নিজের গ্রুপে একটি ম্যাচও জিততে পারেননি। রেগান সিডনির ম্যাকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অথ্যাপক। তিনি কালচারাল স্টাডিজ়ে পিএইচডি করেছেন। রেগান বলেন, “ব্রেকিংয়ে রাজনীতির ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেছি। লিঙ্গ, জাত, এবং রাজনীতি কী ভাবে ব্রেকিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে আমার পড়াশোনা। সেখানে আমার নিজের অভিজ্ঞতাও কাজে লেগেছে।”