সোনা জেতার পরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে আরশাদ নাদিম। ছবি: রয়টার্স।
পাকিস্তানের পদকের খরা কাটিয়েছেন তিনি। প্যারিস অলিম্পিক্সে পাকিস্তানকে একমাত্র পদক এনে দিয়েছেন আরশাদ নাদিম। ৩২ বছর পরে অলিম্পিক্সে আবার পদক পেয়েছে ভারতের পড়শি দেশ। অলিম্পিক্সের আগে আরশাদের অনুশীলনের জন্য একটা নতুন জ্যাভলিনও ছিল না। আর্থিক সমস্যায় পড়া আরশাদের পদক জয়ের ‘ক্ষীর খেতে’ অবশ্য হাজির হয়েছে পাকিস্তান সরকার, পাকিস্তান ক্রীড়া সংস্থা।
আরশাদ সোনা জেতার পরে সবচেয়ে আগে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, টেলিভিশনে আরশাদের জয় দেখার পর হাততালি দিচ্ছেন শাহবাজ়। সেটা দেখে পঞ্জাব প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী বলছেন, “স্যর, এটা আপনারই দূরদৃষ্টি। আপনিই তো ওকে সুযোগ দিয়েছেন।”
তার পরেই আসরে নামে পাকিস্তান ক্রীড়া সংস্থা। তারা জানায়, আরশাদের অস্ত্রোপচার ও অনুশীলনের জন্য ১ কোটি টাকা খরচ করেছে সংস্থা। পাকিস্তানের অ্যাথলেটিক্স সংস্থাকে ৭ কোটি টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় তারা।
ক্রীড়া সংস্থার এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তান অলিম্পিক্স সংস্থার এক আধিকারিক। তিনি বলেন, “আরশাদ সোনা জিততেই সকলে কৃতিত্ব নিতে নেমে পড়েছে। পাকিস্তান ক্রীড়া সংস্থা ও অলিম্পিক্স সংস্থার উচিত বড় বড় কথা না বলে সত্যি সত্যি দেশের খেলাধুলোর উন্নতির চেষ্টা করা। তা হলে ক্রিকেটের বাইরে অন্য খেলা থেকেও ক্রীড়াবিদ উঠে আসবে।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন স্কোয়াশ তারকা জাহাঙ্গির খানও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “আরশাদকে নিজের সঙ্গে লড়াই করে পদক জিততে হয়েছে। আমাদের সরকার ও ক্রীড়া সংস্থা ঠিক মতো কাজ করলে আরও অনেক পদক দেশ জিততে পারত।” একই সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন ফুটবল তারকা এসা খানের গলায়। তিনি বলেন, “আরশাদের সোনা জেতার পরেও যদি পাকিস্তানের খেলাধুলোর ছবি না বদলায় তা হলে এই দেশের উন্নতি সম্ভব নয়।”