চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে হরভজন সিংহ। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলের প্রথম ১০ বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন হরভজন সিংহ। তার পর থেকে তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের সদস্য। প্রশ্ন উঠছে, বর্ষীয়ান অফস্পিনার আর কত দিন আইপিএলে খেলবেন, তা নিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যায় না তাঁকে।
৪০ বছর বয়সি হরভজন খেলেছেন ১০৩ টেস্ট ও ২৩৬ ওয়ানডে। ২২ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি নিয়েছেন ২৩৫ উইকেট। ইকনমি রেট সাতেরও নীচে। অবসর নিয়ে সম্ভাব্য জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ভাজ্জি বলেছেন, “যদি ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ের ফাঁক দিয়ে বা হাঁটুর পাশ দিয়ে বল বেরিয়ে যায়, তবে বয়সের কথা উঠতে পারে। বলা যেতেই পারে যে, আগের মতো ক্ষিপ্রতা দেখা যাচ্ছে না। আপনারা যদি দেশের সেরা তরুণদের বিরুদ্ধে আমাকে স্কিলের পরীক্ষায় নামাতে চান, কোনও অসুবিধা নেই। আমি লড়তে রাজি।”
তিনি যে সেরাদের সঙ্গেই লড়তে চান, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হরভজন। তাঁর কথায়, “জাতীয় দলের হয়ে প্রায় ৮০০ দিন খেলেছি। আমি অনেক সাফল্য পেয়েছি। কারও দয়া চাই না। আর হ্যাঁ, যদি স্কিলের পরীক্ষা হয়, দেশের সেরাদের নিয়ে আসুন। আমি এখনও প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: ‘অনেক ভাল স্পিনার, প্রাপ্য মর্যাদা পায়নি অশ্বিন’
আরও পড়ুন: আজকের দিনে খেললে গাওস্কর ১৫-১৬ হাজার রান করত, বলছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে কী ভাবে আইপিএলে নিজের সেরাটা দেবেন তিনি? হরভজনের কথায়, “এই বিষয়টা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা। কেউ যদি মনে করে যে সরাসরি ম্যাচে খেলা দরকার, তবে তার ক্ষেত্রে সেটাই ঠিক। আমি যদি নেটে ২০০০টা বল করি এক মাসে, তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের অনুশীলন হয়েই যায়। আমার ক্ষেত্রে সেটাই যথেষ্ট।”
এ বারের আইপিএলই কি তাঁর শেষ আইপিএল? গত ১২ বারের আইপিএলে ১৬০ ম্যাচে ১৫০ উইকেট নেওয়া হরভজন বলেছেন, “সেটা এখনই বলতে পারছি না। আমার শরীর কেমন থাকে, তার উপর এটা নির্ভর করছে। চার মাস ধরে ওয়ার্কআউট, বিশ্রাম, যোগা সেশনের পর নিজেকে পুনরুজ্জীবিত লাগছে। যেমনটা ২০১৩ সালে লেগেছিল। সে বার আইপিএলে ২৪ উইকেট নিয়েছিলাম।”