অস্ট্রেলিয়াতেই থাকছেন জোকোভিচ। ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়া থেকে এখনই দেশে ফেরানো হচ্ছে না নোভাক জোকোভিচকে। শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সার্কিট আদালতে শুনানি হয়। সেখানেই জানানো হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় জোকোভিচের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলা হবে। অভিবাসন দপ্তরের কর্তাদের সামনে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে হবে জোকোভিচকে। রবিবার হবে চূড়ান্ত শুনানি।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রয়োগ করে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার সময় জোকোভিচের ভিসা বাতিল করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক। তবে এর মধ্যে জোকোভিচকে দেশে ফেরানোর জন্য কোনও উদ্যোগ নিতে পারবেন না অভিবাসন মন্ত্রী। ফলে আগামী দু’দিনে জোকোভিচের সূচি হতে চলেছে এ রকম: শনিবার সকাল আটটায় সাক্ষাৎকার। এরপর তিনি অভিবাসন দপ্তরের হেফাজতে ১০-২টো পর্যন্ত আইনিজীবীদের দপ্তরে থাকবেন। এরপর রবিবার সকাল ৯টা থেকে আইনজীবীদের দপ্তরের শুনানির সময় হাজির থাকবেন। তখনও থাকবেন অভিবাসন দপ্তরের হেফাজতে।
শুক্রবার শুনানির শুরুতে বিচারপতি অ্যান্থনি কেলির কাছে জোকোভিচকে দেশে ফেরত না পাঠানোর জন্য আদালতের স্থগিতাদেশ চান তাঁর আইনজীবীরা। সেই অনুযায়ী বিচারপতি কেলি শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর পরই তিনি জানান, যে হেতু কোভিড এবং টিকাকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে, তাই মামলাটি ফেডেরাল সার্কিট আদালত থেকে ফেডেরাল আদালতে হস্তান্তর করা হোক। এর বিরোধিতা করেন জোকোভিচের আইনজীবী। তিনি জানান, হয়তো সোমবার বা মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামতে হবে জোকোভিচকে। তাই এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি মিনিটই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এর পরই জোকোভিচের আইনজীবী জানিয়েছেন, সার্বিয়ার টেনিস-তারকাকে নিজেদের হেফাজতে এখনও পর্যন্ত নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন দপ্তর। তবে শনিবার সকালে জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন দপ্তরের সামনে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। জোকোভিচ কী উত্তর দিচ্ছেন তার উপরেই নির্ভর করছে তিনি সে দেশে থাকতে পারবেন কিনা।
আদালতে জোকোভিচের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার ইচ্ছে করে সন্ধে ছ’টার সময় ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যাতে আদালতের প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হয় এবং জোকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি আইনজীবীদের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, জোকোভিচ সে দেশে থাকলে টিকা-বিরোধী মানুষ আরও বেশি উৎসাহিত হবেন এবং ভবিষ্যতে তাঁরা নাকি টিকা নিতে আগ্রহী হবেন না। এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ ভাবে পক্ষপাতিত্ব বলে দাবি করেছেন জোকোভিচের আইনজীবীরা।