নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
প্রত্যাশা মতোই উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক সরাসরি সেটে জিতলেন দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। যদিও অস্ট্রেলিয়ার অবাছাই খেলোয়াড় জর্ডন থম্পসনের বিরুদ্ধে তাঁকে জিততে হল যথেষ্ট লড়াই করে। জোকোভিচের পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৭-৫। সঠিক সময়ে জ্বলে উঠে ম্যাচ জিতে নিলেন তিনি। তার আগে লড়াই চলল ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট।
প্রথম সেট সহজে জিতে নেন জোকোভিচ। ষষ্ঠ গেমে প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যান জোকার। থম্পসনের শক্তিশালী ‘এস’ সার্ভিস ছাড়া উইম্বলডনের দ্বিতীয় বাছাইকে আর কিছুই সমস্যা ফেলতে পারেনি। নিজের সার্ভিস গেমগুলি জিততে কোনও বেগ-ই পেতে হয়নি সার্ব তারকাকে। মাত্র ৩০ মিনিটে ৬-৩ ব্যবধানে প্রথম সেট জিতে নেন তিনি।
প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি অস্ট্রেলীয়। দ্বিতীয় সেটে জোকোভিচের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। জোকোভিচের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিলেন থম্পসন। টাই ব্রেকারে নিয়ে যান সেট। এই সেটে কেউ কারও সার্ভিস ভাঙতে পারলেন না। সপ্তম গেমে জোকোভিচ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। আনফোর্সড এরর (অনিচ্ছাকৃত ভুল) করে সুযোগ নষ্ট করেন। দ্বিতীয় সেটে চাপের মুখে জোকোভিচকে বেশ কিছু আনফোর্সড এরর করতে দেখা গেল। প্রতিপক্ষের তুলনায় উইনারও মারলেন কম। প্রথম সেট দাপটে জেতার পর দ্বিতীয় সেটে জোকোভিচ যেন হঠাৎ-ই ছন্দ হারালেন। প্রথম সেটে একটাও আনফোর্সড এরর করেননি তিনি। অথচ দ্বিতীয় সেটে করলেন ন’টি। কোর্ট কভারিংয়েও তুলনায় পিছিয়ে থাকলেন জোকোভিচ। থম্পসনের আগ্রাসী টেনিসের সামনে দ্বিতীয় সেটে তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। নেটের কাছেও বেশি কার্যকর ছিলেন অস্ট্রেলীয়। ৬-৬ হওয়ার পর সেট গড়ায় টাই ব্রেকারে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৭-৪ ব্যবধানে টাই ব্রেকার এবং সেট জিতলেন সাত বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় সেট জিততে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট লড়াই করতে হল জোকোভিচকে।
২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও লড়াই ছাড়েননি থম্পসন। তৃতীয় সেটেও সমানে সমানে লড়াই করলেন। প্রথম ১১টি গেমে কেউ কারও সার্ভিস ভাঙতে পারেননি। তবে অস্টম গেমে প্রতিপক্ষকে কিছুটা চাপে ফেলেছিলেন জোকোভিচ। যদিও শেষ পর্যন্ত সার্ভিস ভাঙতে পারেননি। এই সেটেও জোকোভিচকে যথেষ্ট বেগ দিলেন এটিপি ক্রমতালিকায় ৭০ নম্বরে থাকা থম্পসন। শেষে ১২ নম্বর গেমে থম্পসনের সার্ভিস ভেঙে ম্যাচ জিতলেন জোকার। ৪০-৩০ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা জোকোভিচ আর ভুল করেননি। ফোর হ্যান্ড উইনারে গেম, সেট, ম্যাচ জিতে নেন। জোকারের শেষ শটের কোনও জবাব ছিল না অস্টেলীয়র কাছে।
গত দু’বছর উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়। এ বারও তিনি খেতাব জেতার অন্যতম দাবিদার। তা পারলে প্রথম বার উইম্বলডন জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন জোকোভিচ।