কোভিড টিকা না নেওয়ায় গত বছর ইউএস ওপেন খেলতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র
কোভিড টিকা না নেওয়ায় গত বছর ইউএস ওপেন খেলতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। কিন্তু এ বছর কোভিড টিকার নিয়মে বদল করেছে আমেরিকা। তার ফলে অগস্ট মাসে হতে চলা প্রতিযোগিতায় খেলতে কোনও সমস্যা হবে না ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের।
আসলে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই জোকোভিচ এই সুযোগ পেয়েছেন। আমেরিকায় বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোভিড টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল এত দিন। ১১ মে সেই কড়াকড়ি শেষ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট তাঁদের চলতি কোভিড বিধি বাতিল করেছে। এখন থেকে সে দেশে পা রাখতে কোনও বিদেশির ক্ষেত্রেই আর টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকছে না। অর্থাৎ, কেউ চাইলে টিকা না নিয়েও আমেরিকায় যেতে পারেন। ফলে কোভিড টিকা না নেওয়া জোকোভিচের খেলতে সমস্যা হবে না।
জোকোভিচ অতীতে একাধিক বার বলেছেন, টিকা তিনি নেবেন না এবং তাঁকে বাধ্য করা হলেও তা মানবেন না। তাঁর বক্তব্য ছিল, এটা নিয়ে জোর করার অর্থ কার্যত তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। এই কারণেই গত বার অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে না খেলেই ফিরতে হয়েছিল। ইউএস ওপেন থেকেও নাম তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও টিকা নেননি সার্বিয়ার টেনিস তারকা।
টিকা না নেওয়ায় গত বছর প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও তার পরে ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ায় পা দেওয়ার পরে মেলবোর্নে আটক করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখানকার আদালতে মামলাও করেছিলেন জোকোভিচ। তাতে লাভ হয়নি। জোকোভিচকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল সে দেশের সরকার। অন্য দিকে ইউএস ওপেনের আগে ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মায়ামিতে খেলার অনুমতি চেয়েছিলেন জোকার। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরেই ইউএস ওপেন থেকে নাম তুলে নেন তিনি।
বিশ্বের বেশ কিছু দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ম শিথিল করায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলেছে। টেনিসের মূলস্রোতে অনেকটাই ফিরে রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম (২২টি) জয়ের নজিরও তিনি স্পর্শ করছেন। এখন জোকোভিচের সামনে সুযোগ এসে গিয়েছে স্পেনীয় তারকাকে ছাপিয়ে যাওয়ারও। চলতি বছর ২৮ অগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ইউএস ওপেন। তিন বার এই প্রতিযোগিতা জিতেছেন জোকোভিচ। আরও এক বার আমেরিকায় ট্রফি জেতার লক্ষ্যে নামবেন তিনি।