জয়ের উল্লাস জোকোভিচের। ছবি রয়টার্স
ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে দেখা যেতে চলেছে ধুন্ধুমার লড়াই। রাফায়েল নাদালের মুখোমুখি হতে চলেছেন নোভাক জোকোভিচ। বুধবার রাতে জোকোভিচ ৬-৩, ৬-২, ৬-৭ (৫-৭), ৭-৫ গেমে হারিয়ে দিলেন ইটালির মাতেয়ো বেরেত্তিনিকে। আগামী শুক্রবার ফিলিপে শাঁতিয়ের কোর্টে মুখোমুখি হবেন নাদাল-জোকোভিচ।
ইটালির বেরেত্তিনি বছর দুয়েক আগে কলকাতায় ডেভিস কাপ খেলে গিয়েছেন ঘাসের কোর্টে। বুধবার সুরকির কোর্টে প্রথম দুই সেটে জোকোভিচের সামনে তাঁকে রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছিল। প্রথম সেটে একবার এবং দ্বিতীয় সেটে দু’বার জোকোভিচ ব্রেক করেন বেরেত্তিনিকে। দ্বিতীয় সেটের মাঝে একবার পেটে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বেরেত্তিনিকে। তখন আচমকাই প্রশ্ন জেগেছিল যে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা। কারণ, বছরের শুরুর দিকে দু’মাস তলপেটের ব্যথার কারণে খেলতে পারেননি তিনি।
কিন্তু তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান বেরেত্তিনি। এবার তাঁকে ব্রেক করতে পারেননি জোকোভিচ। উল্টে একের পর এক ‘এস’ সার্ভিস করে তাঁকে বিপদের মুখে ফেলে দেন বেরেত্তিনি। জোকোভিচ মনে হচ্ছিল আচমকাই ছন্দ হারিয়েছেন। সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও দু’বার অবিশ্বাস্য ভাবে আনফোর্সড এরর করে হেরে যান জোকোভিচ।
চতুর্থ সেটেও দেখা যায় একই দৃশ্য। দুই খেলোয়াড়ই নিজের সার্ভ ধরে রেখেছিলেন। যত খেলা গড়াচ্ছিল, বেরেত্তিনির সার্ভ এবং ফোরহ্যান্ড ততই ক্ষুরধার হচ্ছিল। কিছুতেই তাঁকে ব্রেক করতে পারছিলেন না জোকোভিচ। শেষমেশ তাঁকে ব্রেক করলেন চতুর্থ সেটেই। দুটি ম্যাচ পয়েন্ট হারানোর পর।
বুধবার রাতের ফরাসি ওপেনে দেখা গেল অদ্ভুত এক দৃশ্য। রাত ১১টা থেকে প্যারিসে শুরু কার্ফু। ঠিক তার আগে দর্শকদের স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হল। ওই সময় দুই খেলোয়াড়ই ফিরে গিয়েছিলেন লকার রুমে। প্রায় ২৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।