গর্বিত: এক নম্বরেই মরসুম শেষ করতে চান নোভাক। ফাইল চিত্র
প্যারিস মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন রজার ফেডেরার। এখানে বাকি তিন ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেই সুইস মহাতারকা টেনিস জীবনে তাঁর শততম খেতাবটি পাবেন। সাঁইত্রিশ বছরের ফেডেরার জীবনের ৯৯তম খেতাবটি গত সপ্তাহেই নিজের শহর বাসেলে জেতেন। ফেডেরার প্যারিসে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন জাপানের কেই নিশিকোরির বিরুদ্ধে।
ফেডেরার ২০১৫ সালের পরে এই প্রথম প্যারিস ওপেনে খেলছেন। আর এখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন একবারই। ২০১১ সালে। ফেডেরার বলেছেন, ‘‘আমি প্যারিসে চ্যাম্পিয়ন হতে আসিনি। আমার আসল লক্ষ্য লন্ডনে ভাল কিছু করা।’’ প্রসঙ্গত ১১ নভেম্বর থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানীতে এটিপি ট্যুর ফাইনালস দিয়ে এই মরসুমের মতো টেনিস শেষ হবে। সেখানেও ফেডেরার খেলবেন।
টেনিস মহলে অবশ্য ফেডেরারের থেকেও আলোচনা বেশি হচ্ছে নোভাক জোকোভিচকে নিয়ে। সেটা হওয়ার কারণ আগামী সোমবারই তিনি রাফায়েল নাদালকে সরিয়ে বিশ্বের এক নম্বর হবেন। এখানে নোভাক কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন বসনিয়ার দামির জুমহারকে। অবশ্য দামির ৪-৬, ১-২ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় চোট পেয়ে ম্যাচ ছেড়ে দেন।
এমনিতে আগামী সপ্তাহে এক নম্বরে ফেরা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত সার্বিয়ান তারকা। মাত্র পাঁচ মাস আগেও তিনি র্যাঙ্কিংয়ে ২২ নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন। গত বারো বছরে সেটা তাঁর সবচেয়ে খারাপ র্যাঙ্কিং। কিন্তু ক্রমশ তিনি নিজেকে ফিরে পান। উইম্বলডন, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জেতেন। যাতে তাঁর নিজের মোট গ্র্যান্ড স্ল্যাম দাঁড়ায় চোদ্দোটি। সঙ্গে ট্যুরে টানা কুড়ি ম্যাচ জিতে নজিরও গড়েন। জোকোভিচ যা নিয়ে বলেছেন, ‘‘সত্যি এতটা আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। গর্বও হচ্ছে। পাঁচ মাস আগেও আমি কোথায় ছিলাম, আর এখন কোথায়! তবে টেনিস মরসুম শেষ হলে সব কিছু নিয়ে নতুন করে আরও ভাল ভাবে বলতে পারব। আশা করি মরসুমটা আমি এক নম্বর হয়েই শেষ করতে পারব।’’ প্যারিসে সেমিফাইনালে জোকোভিচের সামনে মারিন চিলিচ।