উইম্বলডনের অনুশীলনে মগ্ন জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
প্রথম রাউন্ডে সহজ প্রতিপক্ষের সামনে। উইম্বলডন জিতলে শুধু রজার ফেডেরারকেই ছোঁয়া হবে না, রাফায়েল নাদালের সঙ্গে ব্যবধানটাও বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। সোমবার উইম্বলডনে ঘাসের কোর্টে নামার আগে আলাদা করে কোনও অনুপ্রেরণা দরকার পড়ছে না নোভাক জোকোভিচের। তিনি সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, ঘাসের কোর্টে নামলে এমনিই আলাদা আত্মবিশ্বাস এসে যায় তাঁর। তখন বাড়তি অনুপ্রেরণার দরকার পড়ে না।
এক বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেই জেতার নজির রয়েছে রড লেভারের। ১৯৬৯ সালে এই কাজ করে দেখিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে কেউ পারেননি। জোকোভিচের সামনে সেই সুযোগ রয়েছে। তিনি উইম্বলডন এবং তার পরে ইউএস ওপেন জিততে পারলেই লেভারকে ছুঁয়ে ফেলবেন।
তার আগে জোকোভিচ বলেছেন, “সেন্টার কোর্টে ঢুকলেই আমার শরীরের ভিতরে কিছু যেন জেগে ওঠে। হঠাৎ করেই যেন খুব ভাল খেলতে শুরু করি। আসলে আমরা যে খেলার সঙ্গে যুক্ত, সেখানে ঘাসের কোর্ট বিরলতম। ৪০, ৫০, ৬০ বছর আগে চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটেই ঘাসের কোর্টে খেলতে হত। এখন পরিস্থিতি আলাদা।”
সার্বিয়ার খেলোয়াড় মনে করেন, ঘাসের কোর্টে তিনি শুরুতে এতটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। কিন্তু খুব দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন। বলেছেন, “এই কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ সময় লাগে। কিন্তু আমার মনে হয় বাকিদের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি এই কোর্টের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। গত ১০ বছর ধরে ঘাসের কোর্টে খেলছি। ঘাসের কোর্টে আমার যে পরিসংখ্যান, সেটাই এর প্রমাণ।”
উইম্বলডনে ৮৬টি ম্যাচে জিতেছেন জোকোভিচ। একমাত্র রজার ফেডেরার তাঁর থেকে এগিয়ে। কিন্তু এখন যাঁরা প্রথম ২০-তে রয়েছেন, উইম্বলডনে সবার জয়ের সংখ্যা মেলালেও জোকোভিচের সমান কেউ নন। ফলে সার্বিয়ার খেলোয়াড়ের কাছে লড়াই অনেক সহজ এ বার।
একটাই বাধা সামনে আসতে পারে। তিনি কার্লোস আলকারাজ়। স্পেনের খেলোয়াড় অবশ্য নিজের খেলাতে মনোযোগী। তিনি যাবতীয় নজর ঘোরাতে চাইছেন জোকোভিচের দিকে। বলেছেন, “শেষ বার ২০১৩ সালে অ্যান্ডি মারের কাছে সেন্টার কোর্টে হেরেছিল জোকোভিচ। তার পর থেকে আর ওকে হারতে দেখিনি। অবিশ্বাস্য রেকর্ড।”