Cricket

খেলরত্নের যোগ্য নন, বললেন হরভজন

শনিবার সেই বিতর্কে দাঁড়ি টানলেন স্বয়ং হরভজনই। টুইটারে লিখলেন, “আমার ফোনে প্রশ্নের বন্যা শুরু হয়েছিল। সকলে জানতে চান, কেন পঞ্জাব সরকার আমার নাম প্রত্যাহার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৬:০৬
Share:

অকপট: কেন তিনি খেলরত্নের যোগ্য নন, ব্যাখ্যা দিলেন হরভজন।

এ বারের রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য হরভজন সিংহের নাম মনোনীত করেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পঞ্জাব সরকার। এবং তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

শনিবার সেই বিতর্কে দাঁড়ি টানলেন স্বয়ং হরভজনই। টুইটারে লিখলেন, “আমার ফোনে প্রশ্নের বন্যা শুরু হয়েছিল। সকলে জানতে চান, কেন পঞ্জাব সরকার আমার নাম প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু সত্যিটা হল, আমি এই পুরস্কারের যোগ্যই নই। খেলরত্ন পুরস্কারের ক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড় গত তিন বছর আন্তর্জাতিক মঞ্চে কী করেছে, তা পর্যালোচনা করা হয়। তাই আমার নাম বাদ দিয়ে সরকার ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

গত বছরই পঞ্জাব সরকারের তরফে অনেক দেরিতে হরভজনের নাম কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। অনেকে মনে হয়েছিল, সেই ঘটনার জেরেই দুই তরফে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে হরভজন বলেছেন, “এটা ঠিক, গত বছর কিছুটা দেরিতেই আমার নাম পাঠানো হয়েছিল। এ বার কিন্তু আমিই পঞ্জাব সরকারকে জানিয়ে দিই, খেলরত্নের যা মাপকাঠি, তাতে আমি এই পুরস্কারের যোগ্য নই। এবং আমিই অনুরোধ করি, আমার নাম না পাঠাতে।”

Advertisement

খেলরত্ন নিয়ে যা-ই বলুন, নিজের দক্ষতার প্রতি এখনও পূর্ণ আস্থা রয়েছে এই অফস্পিনারের। দেশের হয়ে শেষ টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচ তিনি খেলেছেন ২০১৫ সালে। কিন্তু আইপিএলে এখনও খেলে যাচ্ছেন। সংবাদ সংস্থাকে হরভজন বলেছেন, “বয়স নিয়ে ভাবি না। আমি যোগ্য কি না দেখতে চান? এখনকার তরুণ স্পিনারদের সঙ্গে আমার দক্ষতার পরীক্ষা হোক। এমনকি ভারতের সেরা স্পিনারদের সঙ্গেও যে কোনও সময় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি তৈরি আছি।” হরভজন দাবি করেছেন, চল্লিশেও তাঁর কাঁধ যথেষ্ট মজবুত। বয়স বেড়েছে বলে ফিল্ডিংয়ে পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গলাবেন, এতটা খারাপ অবস্থাও তাঁর হয়নি।

আরও পড়ুন: স্ট্রাইকারদের স্কুল: ভাইচুং বলছেন, অবাস্তব ভাবনা!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement