বল দখলের লড়াইয়ে সুনীল ছেত্রী। ছবি - এ আইএফএফ।
ফের একবার লিওনেল মেসিকে টপকে গেলেন। এই মুহূর্তে ১১৭টি ম্যাচে ৭৪টি গোল। তবে সেটা নিয়ে ভাবতে রাজি নন সুনীল ছেত্রী। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জেতার পরেই সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান প্রফুল পটেলের শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। বার্তা পাঠিয়েছে ফিফাও। সুনীল সেই সব নিয়েও গা ভাসাতে রাজি নন। আরও চমকে দেওয়া তথ্য হল বিশ্বকাপ যোগ্যতা নির্ণয় পর্বে প্রায় ২০ বছর পরে বিদেশের মাটিতে জিতল ভারতীয় দল। ম্যাচ জেতানো অধিনায়ক তবুও নির্লিপ্ত।
প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ জেতার পর এ ভাবেই ধরা দিলেন সুনীল। ২-০ ব্যবধানে জিতলেও বাংলাদেশ কঠিন লড়াই দিয়েছে। সেটা মেনে নিলেন সুনীল। বললেন, “বেশ কঠিন ম্যাচ ছিল। একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ ভাল লড়াই করছিল। আমরা এই ম্যাচে আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম। তবে দিনের শেষে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লাম। এতেই শান্তি পেয়েছি। আরও বেশি স্বস্তি পেয়েছি কারণ আমরা এই ম্যাচে কোনও গোল হজম করিনি। এটা খুব দরকার ছিল।”
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই সুনীলের কাছে দৌড়ে চলে গিয়েছিলেন মুখ্য প্রশিক্ষক ইগর স্তিমাচ। মাঠের ভেতর ৯০ মিনিট সুনীল তাঁর দলবল নিয়ে লড়লেও, মাঠের বাইরের ছক কষে বিপক্ষের প্রশিক্ষক জেমি ডেই ও তাঁর দলকে বধ করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপার। কাতারের বিরুদ্ধে সুনীলকে পুরো সময় ব্যবহার না করলেও এ দিন কিন্তু তাঁর সেরা অস্ত্রকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে রাখেন। তাই খেলা শেষ হতেই সুনীলকে চুম্বনে ভরিয়ে দিলেন। তবে সেই সময় সুনীলকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। গ্যালারিতে থাকা ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানালেন এই স্ট্রাইকার।
দল যে প্রায় ২০ বছর পরে বিশ্বকাপ যোগ্যতা নির্ণয় পর্বে বিদেশের মাটিতে জিতল, সেটা জানতেন না সুনীল। তবুও শেষে বলে গেলেন, “আমি এই তথ্য জানতাম না। এমন একটা জয়ে আমার নাম লেখা থাকবে এটাই তো প্রাপ্তি। জিতলে সবাই মাথায় তুলে রাখে। তবে গত ম্যাচগুলোতেও কিন্তু আমরা ভাল খেলেছিলাম। কিন্তু সেটা অনেকে মনে রাখেনি। যাই হোক তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলাম। এটা ভেবেই ভাল লাগছে।”