বোর্ডের অনড় মনোভাবে সংস্কার ক্লিন বোল্ড

জুলাই ১৮, ২০১৬। লোঢা কমিটির সুপারিশ পুরোটাই কার্যত মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বোর্ডকে নির্দেশও দিল, সংস্কার করো। তার পর এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সংস্কারের দেখা নেই। তিন সদস্যের লোঢা কমিটির কোন যুগান্তকারী সুপারিশগুলি নিয়ে প্রধান আপত্তি বোর্ডের এবং তার কী বর্তমান অবস্থা, তুলে দেওয়া হল...লোঢা কমিটির সুপারিশ পুরোটাই কার্যত মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বোর্ডকে নির্দেশও দিল, সংস্কার করো। তার পর এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সংস্কারের দেখা নেই।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৬:০৭
Share:

প্রতীকী: লোঢা কমিটি সুপারিশ এখনও বলবৎ করা যায়নি। সংস্কারেরই উইকেট পতন ঘটেছে ক্রিকেট বোর্ডে।

এক রাজ্য, এক ভোট

Advertisement

• লোঢা কমিটি সুপারিশ: প্রত্যেক রাজ্যে একটিই সংস্থার সমান ভোটাধিকার থাকবে। নতুন রাজ্য সংস্থারও পূর্ণ ভোটাধিকার থাকবে। একই রাজ্যে একাধিক সংস্থার ক্ষেত্রে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভোটাধিকার।

• কী প্রভাব: মহারাষ্ট্র থেকে মুম্বই, বিদর্ভ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত থেকে সৌরাষ্ট্র, গুজরাত ও বডোদরার ক্ষমতা খর্ব। প্রত্যেক বছর ভোট দিতে পারবে না এরা কেউ। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভোটাধিকার থাকবে।

Advertisement

• অবস্থা: বোর্ড থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, এই নিয়ম পুনর্বিবেচনার জন্য। বোর্ড চায়, পূর্ণ সদস্যদের তালিকা যেমন আছে তেমন থাকুক।

অ্যাপেক্স কাউন্সিল

• লোঢা কমিটি সুপারিশ: বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বদলে ৯ সদস্যের এই কাউন্সিল গড়তে হবে। যেখানে থাকবেন বোর্ডের পাঁচ জন পদাধিকারী থাকবেন (সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্ম-সচিব, কোষাধ্যক্ষ), প্লেয়ার্স সংস্থার দু’জন প্রতিনিধি (এক জন পুরুষ, এক জন মহিলা), এক জন কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ)-এর প্রতিনিধি, বোর্ডের আর এক জন প্রতিনিধি, যাঁকে পূর্ণ সদস্যরাই নির্বাচিত করবেন।

• প্রভাব: প্রবল ক্ষমতাশালী ওয়ার্কিং কমিটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। বোর্ড এবং তার অনুমোদিত বিভিন্ন রাজ্য সংস্থায় এতকাল ধরে এই কমিটিই বড় বড় সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে।

• অবস্থান: বোর্ড নিমরাজি হয়েছে মেনে নিতে। কিন্তু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি গড়া যাবে না। প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেই। তাদের প্রতিনিধিও বা আসবে কোথা থেকে?

আরও পড়ুন: এমএস দেখাল, কেন ওকে দরকার

নির্বাচক কমিটির গঠন

• লোঢা কমিটির সুপারিশ: তিন জনের কমিটি হবে। টেস্ট ক্রিকেটার ছাড়া নির্বাচক করা যাবে না।

• প্রভাব: রাজ্য বা অঞ্চল ভিত্তিক নির্বাচক কমিটি যে এত কাল গঠন করা হতো, সেই প্রথা উঠে যাবে।

• অবস্থান: বোর্ড তীব্র আপত্তি জানানোর পরে নির্বাচক কমিটিকে পাঁচ থেকে তিন করেছে।

কুলিং অফ মেয়াদ

• লোঢা কমিটি সুপারিশ: যে কোনও পদাধিকারীর জন্য একটানা সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে তিন বছর। তার পর তাকে তিন বছরের জন্য বিশ্রামে যেতে হবে। তিন বছর পর ফিরে এসে সেই কর্তা আবার তিন বছরের জন্য কোনও পদে থাকতে পারবে।

• প্রভাব: সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ একাধিক প্রশাসককে সরে যেতে হবে। সচিব এবং সভাপতির পদ মিলিয়ে সৌরভের তিন বছর হয়ে গিয়েছে জুলাইয়ে। কুলিং অফ নিয়ম বলবৎ হলে এ বারই বিশ্রামে যেতে হবে। যদিও বোর্ডের পদে তিনি বসতে পারেন আগামী তিন বছরের জন্য।

• অবস্থান: বোর্ড এবং রাজ্য সংস্থারা এই নিয়ম মানতে চাইছে না। কুলিং অফ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement