দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আঁচ খেলার মাঠেও। —ফাইল চিত্র।
সীমান্তে গোলাগুলি প্রায় রোজকার ঘটনা। কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। বহু দিন বন্ধ দ্বিপাক্ষিক সফর। এ রকম আবহে যাঁরা ভেবেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে এশিয়া একাদশের হয়ে ঘাম ঝরাবেন, তাঁদের সেই আশা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এশিয়া একাদশ বনাম বিশ্ব একাদশের দু’টি টি টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করছে বিসিবি। এই দু’টি ম্যাচে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারকে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, এশিয়া একাদশের হয়ে ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে না।
সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময়ে বোর্ডের যুগ্ম সচিব জয়েশ জর্জ বলেছেন, ‘‘আমরা যতদূর জানি, এশিয়া একাদশের হয়ে খেলতে দেখা যাবে না কোনও পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে। আমাদের এই রকমই জানানো হয়েছে। ফলে দুই দেশের ক্রিকেটারদের এক দলের হয়ে খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এশিয়া একাদশের হয়ে ভারতের ক’জন ক্রিকেটার খেলবেন, তা স্থির করবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।’’
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার জের পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডেও। দিনকয়েক আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি ভারতকে নিশানা করেছিলেন।
দীর্ঘ এক দশক পরে শ্রীলঙ্কা খেলতে এসেছে পাকিস্তানের মাটিতে। দেশের মাটিতে ক্রিকেট ফেরানোর বার্তা দিতে গিয়ে মানি বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের নিরাপত্তা বর্তমানে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানির এই মন্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। বোর্ডের সহ সভাপতি মাহিম বর্মা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের উচিত নিজের দেশের নিরাপত্তা আগে খতিয়ে দেখা।’’
দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন যেন খেলার মাঠে না পড়ে, সে বিষয়ে বহুবার সোচ্চার হয়েছেন দুই দেশেরই বহু তারকা। কিন্তু এত কিছু করেও দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট চালু করা সম্ভব হয়নি। আইসিসি প্রতিযোগিতা ছাড়া দুই দেশকে মুখোমুখি হতেও দেখা যায়নি। এই অবস্থায় অনেকে ভেবেছিলেন, এশিয়া একাদশের হয়ে দুই দেশের ক্রিকেটারদের একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে। কিন্তু সেটাও যে সম্ভব হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিল বিসিসিআই।