নাইটদের হারিয়ে অভিনব ‘নাইট পার্টি’

ডেল স্টেইনের মার্ক আপে পা রেখে রেখে বল করে যাচ্ছেন এক জন। সবুজ ঘাসের উপর স্লাইড করে অদৃশ্য বাউন্ডারি আটকাচ্ছেন আর এক। কেউ মাঝ পিচে মনের আনন্দে দু’হাত আকাশে তুলে ছুটছেন। কোমরে বাঁধা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কমলা পতাকা। কেউ আবার স্টাম্প তিনটে উপড়ে ফেলে সেখানকার মাটি কুপিয়ে চলেছেন! এক তরুণ আবার ভারিক্কি আম্পায়ার সেজে ঠায় দাঁড়িয়ে!

Advertisement

প্রিয়দর্শিনী রক্ষিত

বিশাখাপত্তনম শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৪২
Share:

ডেল স্টেইনের মার্ক আপে পা রেখে রেখে বল করে যাচ্ছেন এক জন। সবুজ ঘাসের উপর স্লাইড করে অদৃশ্য বাউন্ডারি আটকাচ্ছেন আর এক। কেউ মাঝ পিচে মনের আনন্দে দু’হাত আকাশে তুলে ছুটছেন। কোমরে বাঁধা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কমলা পতাকা। কেউ আবার স্টাম্প তিনটে উপড়ে ফেলে সেখানকার মাটি কুপিয়ে চলেছেন! এক তরুণ আবার ভারিক্কি আম্পায়ার সেজে ঠায় দাঁড়িয়ে!

Advertisement

দুটো টিমই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। তা হলে এঁরা কারা?

অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বললেন, ওঁরা মাঠকর্মী। ম্যাচ শেষে পিচের পরিচর্যা করছেন। কিন্তু এ কী রকম পরিচর্যা? যা করতে করতে পিচে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা হয়? বা পিচে সটান শুয়ে পড়া যায় হাত-পা ছড়িয়ে? বা বাইশ গজটাকে বানিয়ে ফেলা যায় প্রমাণ সাইজের একটা ডান্স ফ্লোর?

Advertisement

প্রায় শুনশান প্রেসবক্সে উপস্থিত মিডিয়া ম্যানেজারকে আর এক বার প্রশ্নটা করা হল। তিনি মৃদু হেসে বললেন, ওরা তো সিকিউরিটির লোক। কিন্তু এ ভাবে পিচের উপর মোচ্ছব চলছে যে? এ সব কি সংস্থার অনুমোদিত ব্যাপারস্যাপার? পিচ কিউরেটর জানেন? কর্তাটি এ বার একটু অপ্রস্তুত। জানালেন, দ্রুতই নাকি তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু কোথায় কী! কিছুক্ষণ পর মিডিয়া ম্যানেজার নিজেই মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেন। রাত প্রায় এগারোটা, পিচ-পার্টি তখনও পুরোদমে চলছে। তাতে যোগ দিচ্ছে আরও সদস্য, কোথা থেকে চলে এল প্লাস্টিকের একটা ফুটবল, মোবাইল ফোনে উঠছে পরপর ছবি। বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা যাঁরা, তাঁদের ফেসবুক নিউজ ফিড নির্ঘাত ভরে গিয়েছে সে সব ছবিতে!

কেকেআর ভক্তদের হয়তো এ সব দেখলে একটু বেশিই গায়ে লাগবে। যদিও এ সব শুরুর আগে স্টেডিয়াম যখন ক্রিকেটের দখলে ছিল, তখন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রবিন উথাপ্পা আশার বাণী শুনিয়ে রাখলেন নাইট ভক্তদের জন্য। বললেন, এই হারটা টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে হয়ে ভালই হয়েছে। বললেন, এ রকম অবস্থা থেকে সচরাচর তাঁরা ম্যাচ ফিনিশ করেই আসেন। বললেন, স্পিনারদের আজকের মতো বেশি মার খাওয়াটা মাঝে মাঝে হয়। বললেন, তাঁরাও হাতে কুড়িটা ওভার পেলে ব্যাপারটা অন্য রকম দাঁড়াত। সানরাইজার্স অধিনায়ক ‘কী হলে কী হত’ তত্ত্বে ঢুকতে আবার রাজিই নন। শেষ বলে হারের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠে আজ ওয়ার্নার খুব খুশি। হাসতে হাসতে তাই বলতে পারলেন, “আমি ক্যাপ্টেন্সি খুব উপভোগ করি। আয়্যাম অ্যাট হোম উইথ ইট।”

তাঁর ‘হোম’ বিশাখাপত্তনমও যে বুধবারের জয়টা এত উপভোগ করল, মাঠে আর ঘণ্টাখানেক থাকলেই দেখে যেতে পারতেন ডেভ ওয়ার্নার!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement