আগমন: আজ সামনে আটলান্টা। লিসবনে পৌঁছলেন নেমার। ছবি: এএফপি
এক জন বিশ্বকাপজয়ী। তাঁর খেলা নিয়ে ঘোর সংশয়। তিনি— ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপে। তাই অন্য জন একা কী করতে পারেন, তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া। তিনি— বিশ্বের সব চেয়ে দামি ফুটবলার, ব্রাজিলীয় তারকা নেমার। গত দু’মরসুম ধরে চোট নিয়ে যাঁকে সাইডলাইনের বাইরে থেকে দেখতে হয়েছে, প্যারিস সাঁ জারমাঁর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন বুদবুদের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে।
নেমার এবং এমবাপে মিলে পিএসজি-র হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৬০ গোল করেছেন। যা ইঙ্গিত, এমবাপেকে নামানোর মরিয়া চেষ্টা হলেও অলৌকিক কিছু ঘটাতে হবে তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে গেলে। তবে রিজার্ভে ফরাসি তারকাকে রেখে ফাটকা খেলতে পারে পিএসজি। সেক্ষেত্রে শুরু থেকে মাওরো ইকার্ডিকে নিয়ে আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে হবে নেমারকেই।
পিওসজি-র ওয়েবসাইটে নেমারের মন্তব্য, ‘‘এই তিন বছরে পিএসজি-তে আমি অনেক কিছু শিখেছি। ভাল মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যেমন গিয়েছি, তেমনই দেখেছি কঠিন সব পর্ব। চোটের জন্য বাইরে বসে থাকতে হয়েছে। সতীর্থদের সাহায্যে আমি সেই কঠিন অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।’’ ঘোষণা করেছেন, ‘‘এখনই আমি জীবনের সেরা ফর্মে আছি। আমাদের দল দুর্দান্ত খেলছে। যে কেউ আমাদের খেলা দেখলেই সেটা বুঝতে পারবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে চাই। এত কাছাকাছি আর কখনও আসিনি। তাই আমরা মরিয়া লড়াইয়ের জন্য। আমরা এখন সম্পূর্ণ দল।’’
পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেলও বলেছেন, ‘‘নেমারের জন্যই আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি।’’ চাপে আছেন ম্যানেজারও। অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এ বারও হাতছাড়া হওয়া মানে নেমারের সঙ্গে কাঠগড়ায় তোলা হবে তাঁকেও। প্রতিপক্ষ আটলান্টা আগ্রাসী ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। তারা এ মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৬টি গোল করেছে, ১৬টি খেয়েছে। ইটালির বার্গামো অঞ্চলের দল তারা। যে অঞ্চল করোনাভাইরাস অতিমারির ‘হটস্পট’ ছিল। শোনা যায়, ফুটবল প্রেমই বিপদ ডেকে এনেছিল বার্গামোতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচ দেখতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বলে মনে করা হয়। মারণ ভাইরাস তাদের ফুটবল কেড়ে নিতে পারেনি, দেখাতে চাইবে আটলান্টাও।