সান্ত্বনার খোঁজে। মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি টুইট করলেন নেইমার।
ব্রাজিল সমর্থকদের আশা ছিল, তাঁর হাত ধরেই দেশে আসবে কোপা আমেরিকা ট্রফি। কিন্তু গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন সেলেকাও তারকা। কলম্বিয়া ম্যাচের পর রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে। সেই কোপা-বিতর্কের পর প্রথম মুখ খুললেন সেই নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র। বলে দিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যে। বলে দিলেন, তিনি রেফারির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি।
কলম্বিয়া ম্যাচের পরে প্রথমে এক ম্যাচ সাসপেন্ড করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে চার ম্যাচ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, নেইমার নাকি ম্যাচ রেফারিকে গালাগাল দেন। তেড়েও যান রেফারির দিকে। তবে নেইমার বলছেন, তিনি এ সব কিছুই করেননি। ‘‘টানেলে কিছুই ঘটেনি। আমি ভিতরে ছিলাম। রেফারির জন্য অপেক্ষা করছিলাম জিজ্ঞেস করতে যে, লাল কার্ডটা কেন দেখানো হল। তার পর হঠাত্ করেই নিরাপত্তারক্ষীরা মধ্যস্থতা করতে চলে আসে। ওরা ভাবছিল আমি আক্রমণ করব রেফারিকে। আর ওখান থেকেই এ সব ধরে নেওয়া হয়,’’ ব্যাখ্যা নেইমারের।
শাস্তি পেয়েও যাঁর আশা ছিল যে, এ বারের মতো হয়তো কনমেবল তাঁকে ক্ষমা করে দেবে। কোপায় ফের খেলতে পারবেন তিনি। কিন্তু ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ঠিক করে, তারা শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করবে না। ‘‘আমি অনেক আশায় ছিলাম, হয়তো আবার খেলতে পারব ব্রাজিলের হয়ে। শেষমেশ সমস্ত আশা শেষ হয়ে গেল।’’ তবে প্রশ্ন উঠছে, কে সত্যি কথা বলছে? যদি নেইমারের কথা সত্যি হয়, তা হলে ব্রাজিল আবেদন করল না কেন? আর নেইমার যদি কিছু না-ই করে থাকেন তা হলে ক্ষমা চেয়েছিলেন কেন?
সাসপেনশন সত্ত্বেও নেইমার চাইলে টিমের সঙ্গে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নেন আগাম ছুটিতে চলে যাওয়ার। যে প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি পরিবারের সঙ্গে বসে আলোচনা করি। বাবার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করলাম দলের সঙ্গে থাকব না। দুঙ্গাকে বললাম আর কোচও রাজি হলেন।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘সাসপেন্ড হয়ে দলের সঙ্গে ট্রেনিং করার মানসিকতা ছিল না। আমি দলের সঙ্গে থাকা মানে ব্রাজিলের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। অধিনায়ক হিসাবে আমি চাই না সেটা হোক।’’
নেইমারহীন ব্রাজিল ভেনেজুয়েলা বাধা টপকে গেলেও সামনে এ বার প্যারাগুয়ে। যারা গত বার কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে দেয় ব্রাজিলকে। তবে নেইমার মনে করছেন, তাঁকে ছাড়াও তাঁর টিম সমান শক্তিশালী। শুধু তাই নয়, নেইমারের মতে কোপা ফেভারিট এখন ব্রাজিলই। ‘‘আমার টিমে দারুণ সব ফুটবলার আছে। এই দলটার উপর আমার বিশ্বাস আছে। আর ওরাও তো দেখিয়ে দিল যে, সেলেকাও মানে শুধুই নেইমার নয়।’’
এ সবের মধ্যে নেইমারের পাশে দাঁড়ালেন বার্সেলোনায় তাঁর তারকা সতীর্থ লিওনেল মেসি। কোপা থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সেরা তারকাকে ছিটকে যেতে দেখে যিনি খুব দুঃখিত। ‘‘নেইমার আমার খুব ভাল বন্ধু। ও কোপায় না থাকায় খারাপ লাগছে,’’ বলে আর্জেন্তিনা মহাতারকা আরও যোগ করেছেন, ‘‘ব্রাজিলের জন্য নেইমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ও না থাকায় ব্রাজিলের কাজটা কঠিন হয়ে গেল। আমি চেয়েছিলাম ও পুরো টুর্নামেন্টে খেলুক।’’