কাছে-দূরে: ফাইনালে উঠেও ট্রফি হাতে তুলতে পারলেন না নেমার। ছবি: এপি।
বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সাঁ জারমাঁ-র জার্সি গায়ে দেওয়ার পরে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাঁর সামনে। কিন্তু সেই খেতাবের কাছাকাছি গিয়েও পিএসজির ব্রাজিলীয় তারকা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রকে ফিরতে হল হতাশ হয়ে। ম্যাচ শেষে তাই কান্নায় ভেঙে পড়েন নেমার। সতীর্থ ও বিপক্ষের খেলোয়াড়, প্রশিক্ষকেরা তাঁকে সান্ত্বনা দিলেও তাঁর এই কান্না নিয়ে হয়েছে সমালোচনাও।
খেলার পরে মাঠেই নেমারকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা ও স্ট্রাইকার ফিলিপে কুতিনহো। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে কুতিনহো বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার নেমার। দলকে জেতানোর জন্য দুর্দান্ত লড়াই করেছে ও।’’ ভেঙে পড়া নেমারকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন বায়ার্ন ম্যানেজার হান্স ফ্লিকও।
পরে শান্ত হয়ে টুইট করে বায়ার্নকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে ভুল করে বেয়ার লেভারকুসেনের নাম নিয়ে ফেলেনন নেমার। তা নিয়ে শুরু হয় কটাক্ষ। নেমার লিখেছিলেন, ‘‘হার খেলার অঙ্গ। জেতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়েছি। অভিনন্দন বেয়ারকে।’’ বেয়ার লেভারকুসেনের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পাল্টা লেখা হয়, ‘‘ধন্যবাদ, নেমার। তবে বুঝলাম না তুমি কেন আমাদের অভিনন্দন জানালে। অবসরে ফিফা খেলার জন্য যদি দাও, তা হলে ধন্যবাদ।’’ বেয়ার নয়, আসলে হবে বায়ার্ন। খেলা শেষে নেমারের কান্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লেখেন, ‘‘নেমার এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের সব চেয়ে আলোচিত এবং ব্যর্থ এক ফুটবলার।’’ কেউ বা লেখেন, ‘‘নেমারকে বুঝতে হবে খেলাটা নব্বই মিনিটের। সেখানে কয়েক জনকে কাটালেই কাজ শেষ হয় না।’’ মাঠে নাটক করা নিয়ে বরাবরই তাঁকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। ফাইনালের রাতেও চলতে থাকে তাঁর ‘ডাইভিং’ নাটকের সমালোচনা।
আরও পড়ুন: অ্যান্ডারসন ৫৯৯, লড়াই আজহারের
পিএসজি ম্যানেজার থোমাস টুহেল যদিও পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘সব সময়েই যে নেমার গোল করবে তা ভাবা ঠিক নয়। ও জেতার জন্য মাঠে সর্বস্ব দিয়ে লড়েছে।’’