চিন্তিত: স্পিনারদের সামলানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন হেনরি। ফাইল চিত্র
ভারতীয় দলের পেস বিভাগ নিয়ে চিন্তিত নন নিউজ়িল্যান্ডের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস। তিনি মনে করেন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বল করবেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। নিকোলসের উদ্বেগের কারণ ভারতীয় স্পিন বিভাগ। আর অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর পটেলদের মধ্যে যে কোনও একজনই ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারেন বলেই ধারণা তাঁর।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হতে চলেছে সাউদাম্পটনে। ইংল্যান্ডের এই মাঠে সাধারণত সাহায্য পান স্পিনাররা। কারণ, উইকেটে আর্দ্রতার মাত্রা কম। খুব একটা নড়াচড়াও করে না বল। তাই ভারতীয় স্পিনারদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এক সাক্ষাৎকারে নিকোলস বলেছেন, ‘‘ভারতের পেস বিভাগ খুবই শক্তিশালী। তবে স্পিন বিভাগে আর অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজার অভিজ্ঞতাও প্রচুর। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ভারতীয় বোলিং বিভাগের শক্তি বাড়ায় ওরা।’’
কারও চোট না থাকলে তিন পেসারে নামতে পারে ভারত। শামি, বুমরা ও ইশান্ত শর্মার খেলার সম্ভাবনাই সব চেয়ে বেশি। নিকোলসও তাঁদের জন্যই তৈরি হচ্ছেন। তিনি মনে করেন, বোল্ট, সাউদি ও নিল ওয়াগনারের মতোই শক্তিশালী ভারতীয় পেস-ত্রয়ী। নিকোলসের কথায়, ‘‘শামি, বুমরা ও ইশান্ত এত বছর ধরে নিজেদের প্রমাণ করে এসেছে। আমাদের সাউদি, বোল্ট এবং ওয়াগনারের মতোই শক্তিশালী।’’ আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের বোলিং বিভাগের বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করি। এটাই বড় পরীক্ষা। আর বড় ম্যাচ জিততে গেলে এ ধরনের পরিস্থিতির সামনে দাঁড়াতেই হবে।’’
নিকোলসের সতীর্থ ডেভন কনওয়ে পিচে বিশেষ ধরনের মাটি ছড়িয়ে স্পিনারদের সামলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিকোলস এই প্রস্তুতিকে সমর্থন করেন। ৩৭টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থেকে নিকোলস বলে দিতে পারেন, সাউদাম্পটনে বল ঘুরবেই। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের কথায়, ‘‘শুধু কনওয়ে একা নয়, আমরাও এ ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি ইংল্যান্ডে উড়ে আসার আগে। এই বিশেষ মাটিতে বল পড়লে অনেকটা বেশি ঘোরে। নিরপেক্ষ কেন্দ্রে খেলা হবে। তাই সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অশ্বিন ও জাডেজার অতিরিক্ত ঘূর্ণি সামলাতে এ ধরনের প্রস্তুতি খুবই জরুরি।’’
ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ২-০ টেস্ট সিরিজ জয়ের দলে ছিলেন নিকোলস। সেই সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলেই তাঁর বিশ্বাস। সম্প্রতি ভাল ছন্দেও রয়েছেন তিনি নিজেও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দু’টি দেড়শো রানের উপরে ইনিংস রয়েছে। এমনকি কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৩৬৯ রানের জুটিও গড়েন তিনি।
নিকোলসের কথায়, ‘‘ভারতকে হারানোর আত্মবিশ্বাস অবশ্যই রয়েছে। তবে এই ফাইনালের সঙ্গে সেই সিরিজের অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবুও মনে করি, ভারতকে হারানোর স্বপ্ন প্রত্যেকেই দেখছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ভাল ছন্দে থেকে মরসুম শুরু করার অনেক সুবিধা আছে। সারা মরসুমে ভাল করার আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’’