ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যান সান্ত্বনা জানাচ্ছেন কিউয়ি ক্যাপ্টেন সাউদিকে। ছবি— এপি।
বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরে এল ইডেন পার্কে। রবিবার ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি সুপার ওভারে জিতে নিল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে টি টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ জিতলেন বেয়ারস্টো-মর্গ্যানরা। লর্ডসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনাল অবশ্য ছিল পঞ্চাশ ওভারের। ইডেন পার্কের ম্যাচটি টি টোয়েন্টি।
যদিও বৃষ্টি থাবা বসানোর ফলে ম্যাচের ওভার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। ২০ ওভারের ম্যাচ হয় ১১ ওভারের। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান। রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জেতার জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। কিউয়িদের হয়ে শেষ ওভারটি করতে এসেছিলেন জিমি নিশাম। তাঁর ওভারের প্রথম দু’টি বলে ৩ রান নেন ইংল্যান্ডের স্যাম বিলিংস। তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান টম কুরান। ইংল্যান্ডের জেতার জন্য শেষ ৩টি বলে দরকার ছিল ১৩ রান। এই সময়ে ক্রিস জর্ডান ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। শেষ ৩টি বলে জর্ডান ৬, ২ ও ৪ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে দেন।
বিশ্বকাপের ফাইনালেও তো দু’ দলের মধ্যে খেলা গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। সেই স্মৃতি ফিরে আসে ক্রিকেট-ভক্তদের মনে। লর্ডসে অবশ্য বাউন্ডারি বেশি মারার ফলে ইংল্যান্ড প্রথম বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর সেই বিতর্কিত নিয়মটি পরে বাতিল করে দেওয়া হয়। এ দিন অবশ্য সেই সব কিছু ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ১০ মাস নয়, সৌরভকে তিন বছর বোর্ড সভাপতি করার তোড়জোড় শুরু?
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ১৭ রান তোলে। সেই রান তাড়া করতে নেমে কিউয়িরা করে মাত্র ৮ রান। একটি উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বোলার জর্ডান। ফলে সুপার ওভারে এ বারও শেষ হাসি তোলা থাকল ইংল্যান্ডের জন্য। বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই হৃদয়বিদারক হারের পর এ বার নিয়ে দু’ বার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। লর্ডসের হারের শোধ নিতে পারেনি কিউয়িরা।
আরও পড়ুন: কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগে গড়াপেটা-কাণ্ডে এ বার গ্রেফতার আন্তর্জাতিক বুকি