প্রতীকী ছবি।
শতবর্ষ ছুঁতে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলের ধাত্রীগৃহ কুমোৈরটুলি পার্কে বিশেষ ‘শতবার্ষিকী ফলক’ লাগানো হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
লাল-হলুদের প্রতীক ‘মশাল’ নিয়ে ২৮ জুলাই হবে মিছিল। তা দিয়েই শুরু হবে শতবর্ষ উৎসব। মিছিল শুরুর আগেই উন্মোচন করা হবে এই ফলক। উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্কে ইস্টবেঙ্গল তাদের প্রথম ম্যাচ খেললেও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি সংলগ্ন ওই পার্কেই জন্ম হয়েছিল ক্লাবের। সুকুমার সমাজপতি, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা ওখান থেকেই মশাল নিয়ে হাঁটা শুরু করবেন। দীর্ঘ যাত্রার পর তা শেষ হবে ময়দানের ক্লাব লনে। সেখানে তা গ্রহণ করবেন ভাইচুং ভুটিয়া। মিছিলে ক্লাবের সব প্রজন্মের ফুটবলার, ক্রিকেটার ও অন্য খেলার ক্রীড়াবিদদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব, প্রতিষ্ঠান ও ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা থাকবেন মিছিলে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান ফুটবল দলের কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস-সহ ফুটবলাররাও মিছিলে সামিল হবেন।
এ দিকে কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস আজ বুধবার সকালেই নেমে পড়ছেন অনুশীলনে। আলেসান্দ্রো কলকাতা লিগের সময় রিজার্ভ বেঞ্চে হয়তো থাকবেন। ক্লাব সেটাই চাইছে। কিন্তু ৩১ জুলাই জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল পাবে না অনুশীলনে থাকা তিন বিদেশিকেই। কারণ আইএফএ-র নিয়মানুযায়ী, ৬ জুলাই ছিল কলকাতায় খেলা বিদেশিদের সই করার শেষ দিন। কোলাদো, বোরখা ফার্নান্দেস এবং কাশিম আইদারা এখনও সই করেননি। প্রথম ম্যাচের পরে তাঁরা সই করে মাঠে নামতে পারবেন। নতুন বিদেশি মার্তি ক্রেসপি যদি তার মধ্যে এসে পড়েন, তা হলে সই করে ম্যাচ খেলতে অসুবিধা নেই।
ক্লাব সূত্রের খবর, আলেসান্দ্রো বুধবার থেকেই বল নিয়ে অনুশীলনে নামবেন। কারণ কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচ সাত দিন পরেই। যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলন চলছে বোরহা গোমেজদের। লিগের খেলা হবে ইস্টবেঙ্গল মাঠে। আলেসান্দ্রো এসে ঠিক করবেন লিগ ও ডুরান্ডের আগে ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করবেন কি না। এ দিন পুলিশের সঙ্গে আইএফএ-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, আপাতত তিন প্রধানের ম্যাচ-সহ ময়দানে লিগের সব ম্যাচ শুরু হবে দুপুর তিনটেয়। তবে ১৭ অগস্ট কলকাতা ডার্বি হবে যুবভারতীতে ফ্লাড লাইটে।