লুসানে দ্বিতীয় হলেন নীরজ চোপড়া। ছবি: পিটিআই।
সোনা আর হচ্ছে না। অলিম্পিক্সের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গিয়েও লুসানে ডায়মন্ড লিগে সেই দ্বিতীয় স্থানেই শেষ করলেন নীরজ চোপড়া। রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। দোহা ডায়মন্ড লিগেও রুপো জিতেছিলেন নীরজ। প্যারিস অলিম্পিক্সে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেই দুঃখ ভুলে এ বার লুসেনে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু এখানেও দ্বিতীয় স্থানেই শেষ করলেন। প্রথম হলেন গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারস। ব্রোঞ্জ জিতলেন জার্মানির জুলিয়ার ওয়েবার। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পর পর দু’বার ডায়মন্ড লিগ জিতেছিলেন নীরজ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নীরজদের জ্যাভলিনের ইভেন্ট শুরু হয়। প্যারিস অলিম্পিক্সে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি নীরজ। পাঁচটি ফাউল থ্রো করেন তিনি। অলিম্পিক্স শেষে শোনা গিয়েছিল তাঁর চোট রয়েছে, অস্ত্রোপচার হতে পারে। লুসানে তিনি কেমন খেলেন সে দিকে সকলের নজর ছিল। প্রথম থ্রোয়ে নীরজ ছোড়েন ৮২.১ মিটার। তাঁকে ছাড়িয়ে যান অ্যান্ডারসন এবং জুলিয়ান। দু’জনে যথাক্রমে ৮৬.৩৬ এবং ৮৫.০৭ মিটার ছোড়েন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় থ্রোয়ে যথাক্রমে ৮৩.২১ এবং ৮৩.১৩ মিটার ছোড়েন নীরজ। প্রথম তিনটি থ্রোয়ের একটিতেও ৮৫ মিটার অতিক্রম না করায় সকলেই ধরে নিয়েছিলেন হাঁটুর চোট তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলেছে। চতুর্থ রাউন্ডে ৮২.৩৪ মিটার ছুড়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন নীরজ। পঞ্চম থ্রোয়ে ৮৫.৫৮ মিটার ছুড়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন। ষষ্ঠ রাউন্ডে ৯০.৬১ মিটার ছুড়ে সোনা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জুলিয়ান ছোড়েন ৮০.৪৭ মিটার। সোনা জিততে হলে নীরজকে প্রায় ৯১ মিটার ছুড়তে হত। কিন্তু তিনি ৮৯.৪৯ মিটার ছুড়তে সক্ষম হন। এর ফলে তাঁকে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। এই ৮৯.৪৯ মিটার নীরজের এই মরসুমের সেরা থ্রোও।
প্রসঙ্গত গত বছর দোহা ডায়মন্ড লিগে ৮৮.৬৭ মিটার ছুড়ে প্রথম হয়েছিলেন নীরজ। এ বছর দোহায় ৮৮.৩৬ মিটার ছুড়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। আশা করা হচ্ছিল লুসানে প্রথম হবেন। সেখানেও এ বার দ্বিতীয় হলেন তিনি। এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সেও রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম।