প্রত্যয়ী: ব্রিসবেন ওপেনের ফটোসেশনে ওসাকা। গেটি ইমেজেস
টার্কস ও কেইকস দ্বীপপুঞ্জে বেড়াতে গিয়ে ‘মৃত্যু ভয়’ কাকে বলে, অভিজ্ঞতা হল নেয়োমি ওসাকার। বিশ্বের তিন নম্বর এবং গত বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন ওসাকা সেই অভিজ্ঞতার জন্য নতুন মরসুমে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নামছেন।
মরসুমের প্রথম প্রতিযোগিতা ব্রিসবেন আন্তর্জাতিকে নামার আগে ওসাকা তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেন সাংবাদিকদের। নতুন মরসুম শুরু হওয়ার আগে কয়েক দিন ছুটি কাটাতে টার্কস ও কেইকস দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন তিনি। যা এক অর্থে তাঁর ‘প্রথম ছুটি কাটানো’ ছিল। ‘‘খুব মজার কাটছিল ক’দিন। আমার দিদি মারি সঙ্গে ছিল। আমাকে ও প্যাডলবোর্ড করতে বলল এক দিন। সেটা করতে গিয়ে স্রোতের টানে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। প্রায় মৃত্যুর সামনে পড়ে গিয়েছিলাম সে দিন,’’ বলেন ওসাকা।
প্রথমে তাঁরা অগভীর জলে থাকলেও স্রোতের টানে দূরে চলে যেতে থাকেন। ‘‘আমি তখন দিদিকে বলতে থাকি, কত দূর নিয়ে যেতে চাইছিস আমাকে! আমরা যে বাড়িতে উঠেছি সেটাও তো এখন কত ছোট দেখাচ্ছে। তা ছাড়া আমি খুব একটা ভাল সাঁতার কাটতে পারি না,’’ বলেছেন ওসাকা। আতঙ্কে এক সময় ওসাকা জলে পড়ে যান। ‘‘জলে পড়ে গিয়েই আমার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সমস্ত হাঙরের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। দিদিকে তখন চেঁচিয়ে বলছিলাম, আমি যদি এখানে মরি, তার জন্য তুই দায়ী হবি। মাকে গিয়ে জবাব দিস, কী ভাবে আমি টার্কস ও কাইকসে মরলাম,’’বলেন তিনি। এখন সেই ঘটনার কথা ভেবে তাঁর হাসি পেলেও, সেই মুহূর্তে ওসাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ওসাকা বলেছেন, ‘‘কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল আমার। শেষ পর্যন্ত আমি বোর্ডে ফিরে আসতে পারি। তখন দিদি বলে ওঠে, আমি সবাইকে বলব একটা হাঙর দেখেছি এখানে।’’
এই অভিজ্ঞতা ওসাকার টেনিস-দর্শনেও প্রভাব ফেলেছে, ‘‘জীবনে অনেক কিছুরই অভিজ্ঞতা হল। সব কিছুই কাজে লাগাতে চাই। আমার দৃষ্টিভঙ্গি এখন এমন যে, অনেক কিছুই আমি করে দেখিয়েছি, যা ভাবিনি কখনও করে দেখাতে পারব। আমাকে আরও অনেক কিছু করে দেখাতে হবে।’’ ২০১৮ সালে ওসাকা যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ও অস্ট্রেলীয় ওপেনে পরপর চ্যাম্পিয়ন হন। তবে গত বার তিনি ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে ‘অন্য’ ওসাকা প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।