নারিনও মার খাচ্ছে, এটা বেশি দুশ্চিন্তার

কেন হারল কেকেআর? কোথায় ঘুরল ম্যাচ? বিশ্লেষণে দীপ দাশগুপ্ত কেন তিন স্পিনারে নামল কেকেআর, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। স্পিনাররা ন’ওভারে ৮৫ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছে। তা ছাড়া এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে হাফ ডজন বোলার নিয়ে নামার দরকারই ছিল না। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামলে বরং উপকার হত। জেসন হোল্ডারের জায়গায় ক্রিস লিন বা কলিন মানরো থাকলে হয়তো এ ভাবে আত্মসমর্পণ করতে হত না। হগের জায়গায় মর্কেল

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ০৩:১৬
Share:

দল বাছাইয়ে গলদ

Advertisement

কেন তিন স্পিনারে নামল কেকেআর, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। স্পিনাররা ন’ওভারে ৮৫ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছে। তা ছাড়া এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে হাফ ডজন বোলার নিয়ে নামার দরকারই ছিল না। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামলে বরং উপকার হত। জেসন হোল্ডারের জায়গায় ক্রিস লিন বা কলিন মানরো থাকলে হয়তো এ ভাবে আত্মসমর্পণ করতে হত না। হগের জায়গায় মর্কেল। প্রতি ম্যাচে দল নিয়ে এত গবেষণা হচ্ছে যে এটাই দলটাকে সেট হতে দিচ্ছে না।

নারিনও থামাতে পারল না

Advertisement

নারিন নিয়ে গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজি সাধারণত হত শুরুতে এক ওভার, মাঝে দু’ওভার, শেষ দিকে এক। এ দিন করুণ নায়ার-স্যাম বিলিংস মিলে গম্ভীরের আসল অস্ত্রটাকে ভোঁতা করে দিল। যে নারিন দু’দিকেই বল টার্ন করাতে পারে, যে নারিন এর আগে ফ্ল্যাট উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের বল বুঝতে দিত না, তাকে রিভার্স সুইপে দু’বার বাউন্ডারি মারল নায়ার। এমনি সুইপে তো আছেই। এটা কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ব্যাটসম্যানরা কিন্তু এর পর আরও সাহসী হবে নারিনের বিরুদ্ধে। এ দিন প্রথমে একটা উইকেট পেয়েছিল। কিন্তু সেটা যখন দিল্লি নড়বড়ে ছিল, তখন। তার পরে রানও আটকাতে পারল না, জুটি ভাঙাতেও কাজে এল না। এমনকী ১৫ নম্বর ওভারটায় ১৪ রান দেওয়ার পর নারিনের ওভার-কোটাও শেষ করাতে পারেনি গম্ভীর। তবে আশা করব, মে মাসে ইডেনের উইকেটে পুরনো নারিনকে দেখা যাবে। যদিও তার আগে সামনে আরসিবি।

ডেথ ওভারে ব্যর্থ

শেষ তিন ওভারে দিল্লি ৪১ রান তুলে ফেলল। ব্র্যাড হগ এক ওভারে ১৮ রান দিল। ডেথ ওভারে এত রান দেওয়াতেই দিল্লির রানটা ১৮৬-তে চলে যায়, যেটা যে কোনও দলকেই বেশ চাপে ফেলে দেওয়ার মতো। মর্নি মর্কেলের মতো কোনও ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করা বোলার না থাকায় কার্লোস ব্রেথওয়েটের ভয়ঙ্কর মার আটকানো যায়নি।

মিশ্রর চোখ বন্ধ করে ক্যাচ

আন্দ্রে রাসেল শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকতে পারলে হয়তো রানটা তুলে দিত। ১৭ নম্বর ওভারটায় ১৫ রানও উঠে গিয়েছিল। কিন্তু অমিত মিশ্রের ওই অসাধারণ রিফ্লেক্স ক্যাচটা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল। এত জোরে রাসেল শটটা নিয়েছিল যে ক্যাচ নেওয়ার সময় অমিতের চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর পরে এক জন বাড়তি ব্যাটসম্যান থাকলে হয়তো শেষ চেষ্টাটা করতে পারত কেকেআর।

ব্যাটিং অর্ডারে গোলমাল

পীযূষ চাওলাকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হল কেন, বোঝা গেল না। তিনে নেমে যেখানে সূর্য কুমার যাদব ভাল রান পেয়েছে, সেখানে দুটো ম্যাচে ওকে ক্রমশ চার ও পাঁচে ঠেলে দেওয়াটা চরম ভুল। মণীশ পাণ্ডের জায়গায় যেখানে সূর্য মানিয়ে নিয়েছিল, সেখানে ওকে ওই জায়গা থেকে সরানোর প্রয়োজনই ছিল না। আন্দ্রে রাসেলকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানোটাও কম বড় ভুল নয়। তার আগে কে এল? না, সতীশ!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement