ওসাকার হাত ধরে নিউ ইয়র্কে জাপানের সূর্যোদয়। ছবি- ওসাকার টুইটার থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে তারুণ্যের জয়গান। ২২ বছরের নেয়োমি ওসাকার কাছে থেমে গেল ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার স্বপ্নের দৌড়। ফাইনালে প্রথম সেট হেরে গেলেও, দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ান ওসাকা। শেষ মেশ জাপানি তারকা ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে আজারেঙ্কাকে হারিয়ে খেতাব জিতে নেন। এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট ওপেন জিতেছিলেন তিনি।
তবে এ বারের টুর্নামেন্টে একেবারে অন্য ভাবে ধরা দিয়েছিলেন ওসাকা। বিভিন্ন সময়ে পুলিশি অত্যাচারের বা বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নাম মাস্কে লিখে কোর্টে নেমেছিলেন প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই। তা নিয়ে প্রচুর কালি খরচ হয়েছে। চর্চায় থেকে গিয়েছেন ওসাকা।
আজারেঙ্কার বিরুদ্ধে রবিবারের ফাইনালে ‘তামির ব্লাইস’-এর নাম মাস্কে লিখে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ছ’বছর আগে ক্লিভল্যান্ডে ১২ বছরের তামিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে স্মরণ করেই এ দিন ফাইনালে নেমেছিলেন ওসাকা।
আরও পড়ুন: নাইটদের সংসারে নতুন চমক আলি
ফাইনালের প্রথম সেটেই কোর্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন আজারেঙ্কা। সেমিফাইনালে সেরিনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে খেতাব জেতার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। প্রথম সেট ৬-১-এ জিতে নেওয়ার পরে, দ্বিতীয় সেটেও ৩-০-এ এগিয়ে গিয়েছিলেন আজারেঙ্কা। ওসাকা যে ফাইনাল হারতে চলেছেন, তা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়েই ফিরে এলেন তিনি। খেলার স্টাইলে আনেন সামান্য কিছু পরিবর্তন। আজারেঙ্কার বেশ কয়েকটি শটের জবাব দেন ব্যাকহ্যান্ডে। নিখুঁত জায়গায় বল প্লেস করতে শুরু করেন। ম্যাচের রাশ ধীরে ধীরে নিজের হাতে তুলে নেন। আজারেঙ্কাও খেলা থেকে হারিয়ে যান। এগিয়ে থাকার সুবিধা নিতে পারলেন না।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার পরে প্রয়াত বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্টের নাম লেখা জার্সি পরে সাংবাদিক বৈঠকে আসেন ওসাকা। তাঁর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘‘কোবি যেমন ছিল, আমিও তেমনটাই হতে চাই। ও মনে করত, ওই সেরা হবে। আশা রাখি, আমিও একদিন সেরা হব।’’
সেই শ্রেষ্ঠত্বের পথের প্রথম সিঁড়িটাই কি এ দিন পেরোলেন ওসাকা? সময় এর উত্তর দেবে।