ছয়ে ছয় করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি। ছবি গৌতম ভট্টাচার্য
ওয়ান ডে-তে সফল রান তাড়া করায় বিশ্বে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেরা ফিনিশার হিসেবে খ্যাত মাইকেল বিভানকেও পিছনে ফেলে দিয়ে ভারত অধিনায়কের সফল রান তাড়ায় গড় এখন প্রায় ১১০। সফল মানে এর সবক’টা ম্যাচে ভারত জিতে শেষ করছে। অবিশ্বাস্য। যুব ক্রিকেটাররা এই পরিস্থিতিতে কী করে ‘ধোনি’ হবে টোটকা দিলেন শনিবার খেলা শেষে। স্বয়ং ধোনি।
১) লক্ষ্য ছোট ছোট করে ভাগ করা: গোটা টার্গেটটা প্রথমেই ভাবলে চলবে না। তা হলে মাথা গুলিয়ে যেতে পারে। গোটা ব্যাপারটাকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাঙতে হবে ১০ রান, ১৫ রান করে। একবার যখন সেটা পূর্ণ হবে তখন পরের ১৫ রানের দিকে তাকাতে হবে।
২) বড় শট শুরুতেই না খেলা: আমি যে সময়ে যে জায়গাতে নামি তখন প্রথমেই বড় শট খেলাটা সমস্যা হয়ে যায়। কারণ পরের দিকে ব্যাটসম্যান প্রায় আর থাকে না। তখন নিজেকে বোঝাতে হয় শুরুতে ঝুঁকিতে যেও না...ওয়েট করো।
৩) পার্টনারের সঙ্গে বোঝাপড়া: এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তাকেও বুঝতে হবে আপনি কী চাইছেন। পার্টনারশিপটা একটা টিমগেমের মতো। সে যখন মারবে তখন আপনি ধরবেন। আপনি যখন মারবেন সে তখন ধরবে। আমি যুবি, গম্ভীর, রায়না সবার সঙ্গে এই ভাবেই পার্টনারশিপ করেছি।
৪) সিঙ্গলস নিয়ে যাওয়া: এটা করে যেতে হবে। সিঙ্গলস নিয়ে গেলে অন্তত স্কোরবোর্ডটা চালু থাকবে। ভাল দৌড়নোটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। কারণ রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস্ ভাল না হলে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাবেন না।
৫) পার্টনারের সঙ্গে কথাবার্তা: সারাক্ষণ রিভিউ করে যেতে হবে এখন আমরা কোথায়? এর পর কী করতে যাচ্ছি? ক্লিয়ার প্ল্যান থাকবে কোন বোলারকে অ্যাটাক করব? কার ক’টা ওভার বাকি?
৬) বাউন্ডারি বল ছাড়লে হবে না: আপনি যখন গুটিসুটি মেরে পরিস্থিতি ভাল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তখনও আলগা বল পেলে কিন্তু মারতে হবে। লক্ষ্য রাখবেন সেটা যেন বাউন্ডারি হয়, কারণ অন্য সময় তো আপনি ঠুকে খেলছেন। মোদ্দা কথা ঝুঁকি না নিয়ে লুজ বলকে বাইরে পাঠাতে হবে।
৭) ছক্কা মেরে শেষ করা: এটা কোনও প্ল্যানিং নয়। শেষ দিকে যখন পরিস্থিতি বেটার এবং আপনি জানেন বিগ শট এ বার খেলার মতো অবস্থা রয়েছে, তখন মারার বল পেলে ছাড়বেন কেন? তা ছাড়া তখন তো আপনি চান্স নেওয়ার মতো বড়লোকি জায়গায় পৌঁছেছেন। চোখও অনেক সেট।