কানেরিয়া বিতর্কে ফের মুখ খুললেন শোয়েব— ফাইল চিত্র।
বিতর্কের ‘আগুন’ জ্বালিয়েছিলেন তিনি নিজেই। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেওয়ায় নীরবতা ভেঙে শোয়েব আখতার এ বার দাবি করলেন, দানিশ কানেরিয়াকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।
ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে রাখার সংস্কৃতি পাকিস্তানের নয়। মুসলিম, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরও বাসভূমি পাকিস্তান।
দিন দু’য়েক আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে শোয়েব দাবি করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলে বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার কানেরিয়ার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। কারণ দানিশের ধর্ম হিন্দু। তাই দলে কানেরিয়া ছিলেন ব্রাত্য। অনেকে কানেরিয়ার সঙ্গে বসে খেতে পর্যন্ত চাইত না।
আরও পড়ুন: সৌরভও খাবার এনে দিয়েছে আমাকে, দানিশ বিতর্কে মুখ খুলে বললেন ইনজামাম
শোয়েবের এ হেন বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় হয় পাকিস্তান ক্রিকেট। জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার কানেরিয়ার সমালোচনা করেন। আবার মহম্মদ ইউসুফের মতো তারকা শোয়েবকে তাঁর মন্তব্যের জন্য কটাক্ষ করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে শনিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, ‘‘আমার কথা ভুল প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করে রাখার সংস্কৃতি পাকিস্তান দলে কোনওদিনই ছিল না। দলের অলিখিত নিয়ম ছিল, সবাইকে সম্মান দিতে হবে। দু-একজন ক্রিকেটার কানেরিয়া সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করত ঠিকই। তবে এই ধরনের ক্রিকেটার সব দলেই থাকে। ওই ধরনের মন্তব্য শুনে আমি শুরুতেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। বৈষম্যের বীজ অঙ্কুরেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।’’
শোয়েবের দাবি, কানেরিয়াকে করা বৈষম্যমূলক মন্তব্য শুনে তাঁর রাগ হত। ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, ‘‘আমি ওদের বলেছিলাম ওকে (দানিশ কানেরিয়া) নিয়ে এমন মন্তব্য করলে তোমাদের ছুড়ে ফেলে দেব। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়।’’
ইউটিউবে শোয়েব দাবি করেন, গত ১০-১৫ বছরে তাঁদের সমাজ অনেক উন্নতি করেছে। মুসলিম, হিন্দু, অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও বাসভূমি পাকিস্তান। শোয়েব বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কানেরিয়াকে নির্বাসিত করেছে। পাকিস্তান কখনওই কানেরিয়াকে দল থেকে বাদ দেয়নি। ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকায় কানেরিয়াকে নির্বাসিত করেছিল ইসিবি। পাকিস্তান ওর সঙ্গে অন্যায় কিছু করেনি কোনওদিনই।’’ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে শোয়েব এখন অন্য সুর ধরলেন।