লক্ষ্য: বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও সাফল্য চান শ্রীশঙ্কর। ছবি পিটিআই।
মুরলী শ্রীশঙ্কর মনে করেন, সবুরে সত্যিই মেওয়া ফলে!
কেরলের এই লংজাম্পারের কমনওয়েলথ গেমসে অভিষেক হওয়ার কথা মাত্র ১৯ বছর বয়সে। কিন্তু ২০১৮ সালে একটুর জন্য তাঁর গোল্ড কোস্টের বিমানে ওঠা হয়নি। অ্যাপেনডিক্সের অস্ত্রোপচার করানোর জন্য গত বারের গেমসে নামতে পারেননি। সেখান থেকে নতুন প্রস্তুতির হাত ধরে ৮.২৬ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড উন্নত করে শ্রীশঙ্কর জায়গা পান টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স দলে। যদিও অলিম্পিক্সে মাত্র ৭.৬৪ মিটার লাফিয়ে জোটে ২৪ তম স্থান!
বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের আলেকজ়ান্ডার স্টেডিয়ামে শ্রীশঙ্করের প্রথম লাফের পরে সবার টোকিয়ো অলিম্পিক্সের কথাই মনে পড়েছিল। এ ক্ষেত্রে মাত্র ৭.৬০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন তিনি। অথচ যোগ্যতা অর্জনই করেছিলেন৮.০৫ মিটার লাফিয়ে।
এপ্রিলেই নতুন জাতীয় রেকর্ড করেন ৮.৩৬ মিটার লাফিয়ে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও লংজাম্প ফাইনালে ওঠেন। স্বভাবতই কমনওয়েলথে তাঁর প্রথম লাফ অনেককেই বিস্মিত করে। সেখান থেকে দ্বিতীয় বারে লাফান ৭.৮৪ মিটার। তখনও শ্রীশঙ্কর ষষ্ঠ স্থানে। চতুর্থ লাফে এসে আট মিটার অতিক্রম করেন। যদিও সে লাফ ফাউল হয়ে যায়। তখন পঞ্চম স্থানে ভারতীয় তারকা। দেখার বিষয় ছিল, পাঁচ নম্বর লাফে হিসাব তিনি উল্টে দিতে পারেন কি না! তার পরে আর একটা মাত্র লাফ বাকি থাকত। হলও সেটাই। ২৩ বছর বয়সি জাম্পারের রুপোর লাফ ছিল ৮.০৮ মিটারের! সেই অর্থে বড় কোনও প্রতিযোগিতায় শ্রীশঙ্করের এটা প্রথম পদক।
শ্রীশঙ্কর কমনওয়েলথে এই রুপোতেই আপাতত সন্তুষ্ট। তবে আগামী দিনে সোনা জেতাই লক্ষ্য। ‘‘রুপোয় সন্তুষ্ট। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করে যাব। পরের বার সোনা জিততেই হবে। এখানে সোনার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল! আরও একটা স্বপ্ন রয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জেতা। ভেবেছিলাম, এ বারই ব্রোঞ্জ জিতব। কিন্তু সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারিনি,’’ বলেন শ্রীশঙ্কর।