যশপ্রীত বুমরা
নিলাম থেকে লাভ-ক্ষতির পাশাপাশি যশপ্রীত বুমরার চোটের দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কলকাতায় নিলাম সেরে মুম্বই ফিরে কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে বলেছেন, তাঁরা বুমরার অগ্রগতিতে সন্তুষ্টই। কোমরের চোটের জন্য মাঠের বাইরে রয়েছেন বুমরা। তবে রিহ্যাব প্রায় শেষ করে তিনি ভারতীয় দলের নেটে বোলিং শুরু করেছেন।
মাহেলা মনে করছেন, জানুয়ারি বা খুব দেরি হলেও ফেব্রুয়ারিতেই মাঠে ফিরতে পারবেন বুমরা। বলছেন, ‘‘বুমরার অগ্রগতি ভালই হচ্ছে। ট্রেনিং করা শুরু করেছে। বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় দলের নেটে গিয়েও বোলিং করেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিশেষজ্ঞরাও পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন।’’ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই প্রধান ক্রিকেটার বুমরা এবং হার্দিক পাণ্ড্য চোটের জন্য বাইরে রয়েছেন। হার্দিকের কোমরে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে। মাহেলা বলছেন, ‘‘হার্দিকেরও খুব ভাল উন্নতি হচ্ছে। আমি খুবই খুশি। আশা করব, ওরা জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই মাঠে ফিরবে। তা না পারলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরের সিরিজে।’’
কলকাতায় নিলামে অবশ্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এসেছিল মোটামুটি তাদের ঘর গুছিয়েই। তাই খুব বড় কোনও টার্গেট তাদের ছিল না। তবু ক্রিস লিন এবং নেথান কুল্টার-নাইলকে তুলে নিয়ে আরও শক্তিশালী করে ফেলেছে দলকে। লিনকে ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর। তাঁকে বেসপ্রাইস ২ কোটিতেই তুলে নেয় মুম্বই।
আর এক প্রাক্তন নাইট কুল্টার-নাইলের জন্য অবশ্য ৮ কোটি ব্যয় করতে হয় তাদের। এর বাইরে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা অনামী প্রতিভাদের নিয়েছে সর্বোচ্চ চার বার আইপিএল জেতা দল। মালকিন নীতা অম্বানী বলেন, ‘‘২০১০ থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তারুণ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যশপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ড্য, ক্রুনাল পাণ্ড্যর মতো তরুণদের বিকশিত হতে দেখেছি আমরা।’’