কলকাতা লিড নিলেও সেমিফাইনাল কিন্তু বেঁচে

আটলেটিকো দে কলকাতা ও মুম্বই সিটির প্রথম লেগটা সমানে সমানে লড়াই হল। খুব ওপেন একটা ম্যাচ হল যেখানে দুটো দলই একে অন্যকে সমস্যায় ফেলল। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, এটিকে এক গোলে জিতবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু কখনও আশা করিনি পাঁচ গোল হবে।

Advertisement

লুসিও

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

ছবি: এএফপি।

আটলেটিকো দে কলকাতা ও মুম্বই সিটির প্রথম লেগটা সমানে সমানে লড়াই হল। খুব ওপেন একটা ম্যাচ হল যেখানে দুটো দলই একে অন্যকে সমস্যায় ফেলল। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, এটিকে এক গোলে জিতবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু কখনও আশা করিনি পাঁচ গোল হবে। প্রথমার্ধটা পুরো উত্তেজনায় ভরা ছিল। কলকাতা লিড নিল ভাগ্যের জোরেই। আমার মনে হয় না ডিকার স্ট্রাইকটা গোলের দিকে ছিল। তবে সেমিফাইনাল মানে তোমার দিকে যা আসবে, সেটা লুফে নিতে হবে।

Advertisement

গোলটা কলকাতাকে ম্যাচের ছন্দে আসতে সাহায্য করল। কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে, মুম্বই প্রভাব ফেলেছে। লিও কোস্তার গোলটা ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। একদম ঠিক সময় গোলটা পেয়েছিল। গোটা মরসুমে সেট পিস থেকে খুব ভয়ঙ্কর দেখিয়েছে মুম্বইকে। আর সেটা হবে নাই বা কেন? বলের সামনে তো ফোরলান দাঁড়িয়ে আছে। যার ডেলিভারিগুলো এতটাই ভাল যা কোনও রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে। আর সেটাই হল ১৯ মিনিটের গোলে। ডিফেন্সকে দোষ দেওয়ার থেকেও প্রশংসা করব ডেলিভারি আর হেডারের। গেরসনের ইচ্ছেটা সবচেয়ে বেশি ছিল। ও এক রকম ঠিক করেই রেখেছিল ক্রসের শেষে থাকতে হবে।

কলকাতার প্রত্যাবর্তনের কথাও বলতে হবে। বলের উপর দ্যুতির দুর্দান্ত কাজের সৌজন্যে হিউম গোল করল। আমার মনে হয় টুর্নামেন্টে নিজের সেরা ম্যাচটা খেলল দ্যুতি। সব সময় ওকে ভয়ঙ্কর লাগছিল। মুম্বই ডিফেন্সকে সুযোগ পেলেই বিপদে ফেলছিল। পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল আর হিউমও দারুণ মারল। দ্বিতীয়ার্ধটা অনেক বেশি শান্ত হল। দিয়েগো ফোরলানের লাল কার্ডটা প্রচণ্ড মাথা গরমের ফলে হয়েছে। ও নিজে আরও ভাল ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। টাইটা এখনও ঝুলে রয়েছে আর এটিকে লিড নিলেও মুম্বইয়ে ছোট ছোট জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

Advertisement

দ্বিতীয় সেমিফাইনালও বেশ জমজমাট হল। গোলের দিক দিয়ে নয়। আর সেটা আশাও করিনি। দু’টো দলই শক্তিতে সমান সমান ছিল। দিল্লির আক্রমণের জবাবে কেরলের রক্ষণও বেশ সংগঠিত ছিল। তাই তো ম্যাচটায় এক গোল হল। বেলফোর্টের গোলটাও খুব খারাপ খেয়েছে দিল্লি। বেলফোর্টকে দিল্লি সুযোগ দেয় বলটা নিয়ে দৌড়ে শট মারতে। স্কুলবয় এরর যাকে বলে। আমার মনে হয় দিল্লিতে দ্বিতীয় লেগ আরও বেশি উত্তেজক হবে। ঘরের মাঠে দিল্লির রেকর্ড ঈর্ষনীয়। আর নিজেদের চেনা পরিবেশে দলের মধ্যে যোগসূত্রটাও ভাল হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement