কলকাতা বনাম মুম্বই ম্যাচ। ছবি: সংগৃহিত।
কলকাতা ০
মুম্বই ১ (ফোরলান)
সনি নর্ডির গোল করা হয়নি। তাঁর মোহনবাগান সতীর্থ দেবজিৎ মজুমদারকে গোলের সামনে একা পেয়ে শটও নিয়েছিলেন গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দেবজিৎ অবশ্য চেনেন মোহনবাগানের এই স্ট্রাইকারকে। তাই সঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু যে গোলটি হজম করতে হল তাঁকে সেখানে আর কিছু করার ছিল না। নীল জার্সিতে তাঁর সামনে তখন স্বয়ং দিয়েগো ফোরলান। ৭৯ মিনিটে প্রবীরকে টপকে বাঁ প্রান্ত থেকে সেই সনি নর্ডিরই শট প্রতিপক্ষের প্লেয়ারের গায়ে ধাক্কা খেয়ে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিল ফোরলানের কাছে। ফোরলানকে যে কেন বক্সের বাইরে এ ভাবে ফাঁকায় ছেড়ে রেখেছিল কলকাতার রক্ষণ সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। তাঁর শট দেবজিতের মাথার উপর দিয়ে চলে গেল গোলে। প্রশ্ন উঠতে পারে গোলকিপারের উচ্চতাটাই আসল। যেটা নাকি দেবজিতের নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে হার হল রক্ষণের। ঘরের মাঠে আইএসএল-এ প্রথম হারের মুখ দেখল অ্যাটলেটিকো কলকাতা। সামনে তখন বসে থিয়েরি অঁরির মতো বিশ্ব ফুটবলের বড় নাম।
হতাশ দেখাচ্ছিল ভিআইপি গ্যালারিতে বসে থাকা এটিকে-র অন্যতম কর্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আন বিটেন রেকর্ড হারিয়ে তখন হতাশ গোটা দল। শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে এটিকে ফ্রিকক পাওয়ার পর সাইড লাইনে রীতিমতো লাফাচ্ছিলেন কোচ মলিনা। কিন্তু গোলে অ্যালবিনো গোলসের হাত ছিল তৈরি। তাঁর আগে বেশ কিছু ছন্নছাড়া আক্রমণ দু’পক্ষের। ফুটবলের মানও সেই পর্যায়ে পৌঁছল না। জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে চলে গেল মুম্বই সিটি এফসি। কলকাতা থেকে গেল তিন নম্বরেই।
আরও খবর
আইএসএল তো ডাকেইনি আমায়, কলকাতায় বললেন থিয়েরি অঁরি