আগ্রাসী: ছ’উইকেট নিয়ে বাংলাকে লড়াইয়ে রাখলেন মুকেশ। ফাইল চিত্র
ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলে নিউজ়িল্যান্ড থেকে মঙ্গলবার সকালেই জয়পুরে ফেরার কথা ছিল বাংলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের। কারণ মঙ্গলবার থেকে জয়পুরেই শুরু হল বাংলা বনাম রাজস্থানের রঞ্জি ম্যাচ। বিমান বিভ্রাটের কারণে অধিনায়কের মাঠে আসতে দেরি হলে কী হবে, তা নিয়ে নানা চিন্তা ছিল বাংলা শিবিরে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরন নিউজ়িল্যান্ড থেকে জয়পুরে আসতে দেরি করেননি। বাংলার অধিনায়ক রাজস্থানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জি ম্যাচে উড়ে এসে নামলেও, শেষ পর্যন্ত রান পেলেন না। ফলে হতাশা বাংলা শিবিরে। তবে বাংলার হয়ে এ দিন দুরন্ত বল করলেন দুই তরুণ পেসার মুকেশ কুমার (৬-৬২) ও আকাশদীপ সিংহ (২-৬০)। বাংলার হয়ে বাকি উইকেট নেন দুই স্পিনার শাহবাজ় আহমেদ (১-৩) ও অর্ণব নন্দী (১-৪৫)।
প্রথম দিনের শেষে বাংলার বোলারদের দাপটে রাজস্থান ২৪১ রানে অলআউট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলার রান ৪৭-১। দলের ছ’রানের মাথায় অধিনায়ক ঈশ্বরন (২) আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ক্রিজে রয়েছেন কৌশিক ঘোষ (অপরাজিত ২৪) ও অভিষেক রমন (১৯)। বাংলা পিছিয়ে ১৯৪ রানে হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
জয়পুরে এ দিন টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক ঈশ্বরন। কিন্তু শুরু থেকেই দুই পেসার মুকেশ ও আকাশদীপের সামনে চাপের মুখে পড়েন রাজস্থানের ব্যাটসম্যানেরা। দুই তরুণ বোলারের গতি সামলাতে না পেরে প্যাভিলয়নে ফিরে যান রাজস্থানের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানেরা। তাদের হয়ে বড় রান করেন মহীপাল লোমর (৫২) ও অর্জিত গুপ্তা (৩৩)।
ম্যাচের পরে দলের পেসারদের বিশেষ করে মুকেশের পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বাংলার কোচ অরুণ লাল। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্দান্ত বল করল মুকেশ। ওর বেশ কিছু বল খেলতে গিয়ে একাধিক বার অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজস্থানের ব্যাটসম্যানেরা। ও আমাদের দলের বিশেষ একজন বোলার। আকাশদীপও দলের প্রয়োজনে কাজে এসেছে।’’ যোগ করেন, ‘‘মুকেশ যদি বলের লাইন ও লেংথ আরও আঁটসাঁট রাখতে পারে, তা হলে একজন বিধ্বংসী বোলারে পরিণত হবে। কারণ উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানকেও ও আউট করে বিপক্ষকে ধাক্কা দিতে পারে।’’
বাংলা কোচ আশাবাদী বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই রাজস্থানের প্রথম ইনিংসের রান পেরিয়ে যাবেন।