ফুটছে মেলবোর্ন, হার ওয়ারিঙ্কা ও মুগুরুজার

এ দিন মেলবোর্ন পার্কে টেনিস কিংবদন্তিদের হার-জিত নিয়ে যতটা না আলোচনা ছিল, তার চেয়ে বেশি চর্চা হয় মেলবোর্নের এই হঠাৎ পড়া গরম নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

বিদায়: দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিটকে গেলেন মুগুরুজা, ওয়ারিঙ্কা। বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে। ছবি:এএফপি, রয়টার্স

চোটের জন্য গত ছ’মাস টেনিস সার্কিটে থাকতে না পারায় নোভাক জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রত্যাবর্তন যে মোটেই সহজ হওয়ার নয়, তা তিনি নিজেও জানেন। বৃহস্পতিবার তৃতীয় রাউন্ড থেকেই টের পেতে শুরু করে দিলেন কতটা কঠিন হতে পারে তাঁর এই প্রত্যাবর্তন। বাছাই তালিকায় ১৪ নম্বরে থাকায় একেই পরপর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ম্যাচ পড়ছে তাঁর। তার ওপর মেলবোর্নের তুমুল গরম প্রতি মূহুর্তে নিংড়ে নিচ্ছে শরীরের প্রতিটি জলকণা। যার জন্য লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

Advertisement

এ দিন একাধিক অঘটনের নায়ক ফ্রান্সের গেল মঁফিলকে হারাতে রড লেভার এরিনায় পৌনে তিন ঘণ্টা লড়তে হয় জকোভিচকে। প্রথম সেটে হারার পরে জকোভিচ অবশ্য পরের তিন সেটেই জেতেন ৪-৬, ৬-৩, ৬-১, ৬-৩-এ। কিন্তু চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়স গরমে কাহিল হয়ে পড়েন দু’জনেই। বহু যুদ্ধে একাধিক অঘটন ঘটানো ফরাসি তারকা মঁফিল তো বলেই দেন, ‘‘মারাত্মক অবস্থা ছিল আজ। আমাদের দু’জনকেই খুব ভুগতে হয়েছে। দু’জনের পক্ষেই বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই পরিবেশ।’’

কষ্টার্জিত এই জয়ের পরে চোট পাওয়া কনুই ঠিক আছে কি না, জানতে চাওয়া হলে জকোভিচ বলেন, ‘‘এখনও একশো শতাংশ ঠিক হয়নি। ক্রমশ ঠিক হচ্ছে। নিজের দক্ষতার ওপর যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে আমার।’’ তবে স্বীকারও করে নেন, ‘‘গেল আমাদের খেলায় অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। কিন্তু আজ ও নিজের সেরা জায়গায় ছিল না।’’ তবে পরের ম্যাচের আগে যে তিনি এক দিন বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন, এটাই সুবিধা হবে তাঁর। পরের ম্যাচ ২১ নম্বর বাছাই স্পেনের অ্যালবার্ট রামোস ভিনোলাসের বিরুদ্ধে।

Advertisement

জকোভিচ এই কঠিন বাধা টপকে গেলেও চোট সারিয়ে ফিরে আসা আর এক খেলোয়াড় সুইৎজারল্যান্ডের স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কা কিন্তু এই চরম আবহাওয়ায় লড়াই জারি রাখতে পারেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবাছাই খেলোয়াড় টেনিস স্যান্ডগ্রেনের কাছে হেরে গেলেন সরাসরি সেটে ৬-২, ৬-১, ৬-৪-এ। রজার ফেডেরার ও মারিয়া শারাপোভারা এ দিন দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জিতলেও খুব একটা সহজ হয়নি তাঁদের এই জয়।

এ দিন মেলবোর্ন পার্কে টেনিস কিংবদন্তিদের হার-জিত নিয়ে যতটা না আলোচনা ছিল, তার চেয়ে বেশি চর্চা হয় মেলবোর্নের এই হঠাৎ পড়া গরম নিয়ে। ক্যারোলিনা গার্সিয়া জানান, ‘‘কোর্টে নেমে আমার মনে হচ্ছিল আগুনের ওপর পা দিয়ে আছি।’’ ছেলেদের পঞ্চম বাছাই ডমিনিক থিয়েম ম্যাচের পরেই বরফ স্নানের জন্য ছোটেন। আয়োজকরা অবশ্য আগে থেকেই খেলোয়া়ড়দের সাবধান করে দিয়েছিলেন, প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার পূর্বাভাসের কথা জানিয়ে। তবু অনেকের কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে এই গরম।

বৃহস্পতিবারই ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলে পারদ এবং শুক্রবার আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। মেয়েদের তৃতীয় বাছাই গারবিন মুগুরুজা এই গরম সহ্য করতে না পেরে এ দিন সরাসরি সেটে হেরে যাওয়ার পরে বলেন, ‘‘অসহ্য গরম কোর্টে। গত বছরও এখানে প্রচন্ড গরমে এক চেয়েও কঠিন ম্যাচ খেলেছিলাম। কিন্তু এত গরম নয়। আমার তো মনে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি গরম আজই ছিল।’’

ফরাসি অষ্টম বাছাই গার্সিয়া বহু কষ্টে তিন সেটের ম্যাচ জেতার পরে বলেন, ‘‘আমার পাগুলো জ্বলছে। তবে এখানে এ রকমই হয়। পরের দিন হয়তো দেখবেন ঠাণ্ডা লাগছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement