ধোনির মাথা ঠান্ডা রাখার ক্ষমতায় অবাক হয়েছিলেন লক্ষ্মণ। ফাইল চিত্র।
সেটা ২০০৮ সাল। অনিল কুম্বলে সদ্য বিদায় জানিয়েছেন ক্রিকেটকে। তাঁর জায়গায় টেস্টে অধিনায়ক ঘোষিত হয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আর পাকাপাকি অধিনায়ক হওয়ার পর নাগপুরে প্রথম টেস্টেই এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। টিমবাস নিজেই চালিয়ে ফিরেছিলেন হোটেলে!
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে ভিভিএস লক্ষ্মণের আত্মজীবনী '২৮১ অ্যান্ড বিয়ন্ড'। তাতেই লক্ষ্মণ এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই টেস্ট ছিল লক্ষ্মণের শততম টেস্ট।
লক্ষ্মণ লিখেছেন, "আমার শততম টেস্টে নাগপুরে ধোনির টিমবাস চালিয়ে হোটেলে ফেরার মুহূর্তের স্মৃতি চিরস্থায়ী রয়ে গিয়েছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দলের অধিনায়ক কিনা মাঠ থেকে টিমবাস চালিয়ে হোটেলে ফিরছে। অনিল কুম্বলের অবসরের পর এটাই ছিল অধিনায়ক নিযুক্ত হওয়ার পর ধোনির প্রথম টেস্ট। কিন্তু ধোনির কোনও দিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না। ও কারওরই পরোয়া করেনি। আসলে ধোনি এমনই। মজার মজার কাণ্ড ঘটাত। জমিতে পা রেখে চলত। এমএস কখনই এই স্বভাব হারায়নি।ওঁর মতো কাউকে আর দেখিনি।"
আরও পড়ুন: রোহিতকে থামানো অসম্ভব, বললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
আরও পড়ুন: বিদেশে সব দলই ব্যর্থ হয়, একা ভারতেরই দোষ? প্রশ্ন রবি শাস্ত্রীর
২০১১ সালে খারাপ সময় চলছিল লক্ষ্মণের। রান পাচ্ছিলেন না। বিদেশে টেস্ট সিরিজ হারছিল ভারত। সেই সময়ও ধোনিকে মাথা গরম করতে দেখেননি তিনি। লক্ষ্ণণ লিখেছেন, "ধোনির প্রশান্ত মানসিকতা ও মনের স্থিরতা অবিশ্বাস্য। ২০১১ সালের ইংল্যান্ড সফরের আগে পর্যন্ত ধোনি শুধু সাফল্যই দেখে এসেছে। কিন্তু ইংল্যান্ডে আমরা ০-৪ ফলে টেস্ট সিরিজ হেরে যাই। বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়াতেও হেরে বসি। আরও একটা হোয়াইটওয়াশের দিকে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু এমএস একেবারে শান্ত ছিল। একবারও মাথা গরম করেনি। ও যে ক্রিকেটারদের নিয়ে রীতিমতো হতাশ ও অসহায়, তা বুঝতে দেয়নি কখনই।"
লক্ষ্মণ আরও লিখেছেন, "নিজেকে স্থিরমস্তিষ্ক মনে করতাম। কিন্তু, ধোনি বলেছিল, 'কী হবে হতাশ হয়ে? এতে শুধু নিজের পারফরম্যান্সই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।' এটা শুনে উপলব্ধি করলাম যে ধোনি ব্যাপারটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে।" কেন 'ক্যাপ্টেন কুল' হয়ে উঠবেন এমএসডি, তার ইঙ্গিত তখনই পেয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মণ।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)